ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১

বিয়ের দাবিতে পুলিশ সদস্যের বাড়িতে কলেজছাত্রীর অবস্থান

নিজস্ব সংবাদদাতা, শিবালয়, মানিকগঞ্জ

প্রকাশিত: ২১:১১, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বিয়ের দাবিতে পুলিশ সদস্যের বাড়িতে কলেজছাত্রীর অবস্থান

পুলিশ সদস্যের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে টানা চারদিন ধরে অবস্থান করছেন কলেজছাত্রী

মানিকগঞ্জের শিবালয়ে এক পুলিশ সদস্যের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে টানা চারদিন ধরে অবস্থান করছেন এক কলেজছাত্রী। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার ধুসর কালীবাড়ি গ্রামের মৃত সাহাজ উদ্দিনের ছেলে পুলিশ সদস্য হাসান আলীর বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন ওই ছাত্রী। সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, হাসানের বাড়িতে বিভিন্ন বয়সী উৎসুক নারী-পুরুষের ভিড়। তবে বাড়ির লোকজন পলাতক থাকায় কেউ তাদের সঙ্গে কথা বলতে পারেনি।
ভুক্তভোগী ছাত্রী মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বিএ (সম্মান) চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী দাবি করে জানান, ফেসবুকে বন্ধুত্বের সূত্র ধরে দীর্ঘ চার বছর পুলিশ সদস্য হাসান আলীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে হাসান তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ভবিষ্যৎ ভেবে আমি তাকে বিয়ের কথা বলতে থাকি।
তিনি আরও বলেন, বিয়ের কথা বললে হাসান বলে, মা আমাদের বিয়েতে রাজি না বিধায় আমাকে তার বাড়িতে গিয়ে ওঠার পরামর্শ দেন হাসান। উপায় না দেখে গত ২৮ ডিসেম্বর আমি তার বাড়িতে আসি। পরে তার মা ও পরিবারের লোকজন জানান, হাসান ছুটিতে এলে ৪০ দিন পর সামাজিকভাবে তোমাদের বিয়ে দেওয়া হবে। আমি ফিরে যাই। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হলেও বিয়ের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ফের হাসানের বাড়িতে আসি। কিন্তু হাসানের মা ও বোন বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। বর্তমানে বাড়ির সব সদস্যই পলাতক বলে জানান তিনি।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আরও জানান, হাসান নাটোরে পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। তার কনস্টেবল নম্বর ৯৬৬ বিপি-৯৮১৮২১০৪০২। কিন্তু এখন তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। স্থানীয় ইউপি সদস্য খবির উদ্দিন বলেন, প্রায় দেড় মাস আগে এক কলেজছাত্রী বিয়ের দাবিতে পুলিশের এই বাড়িতে অবস্থান নিলে উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়। তখন ৪০ দিনের মধ্যে বিয়ে দেওয়ার লিখিত প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হয়ে যাওয়ার পরও বিয়ে না হওয়ায় মেয়েটি আবারও এ বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে। শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এআরএম আল-মামুন জনকণ্ঠকে জানান, এ ঘটনায় এখনো কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

×