
ছবিঃ সংগৃহীত
রাজধানীতে শুধু কাউন্টার থেকে যাত্রী ওঠানামার সিদ্ধান্ত বাতিলসহ কয়েকটি দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন বাস শ্রমিকরা। আজ সোমবার দুপুর ১২টার পর থেকে রাজধানীর সায়দাবাদে জনপদের মোড়ে শ্রমিকরা রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে সায়দাবাদ-যাত্রাবাড়ী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, সকাল সাড়ে ১০টা থেকেই সায়দাবাদ এলাকায় শ্রমিকরা জড়ো হতে থাকেন। পরে শতাধিক শ্রমিক একত্রিত হয়ে সড়ক অবরোধ করেন এবং বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। শ্রমিকদের আন্দোলনের ফলে সায়দাবাদ-যাত্রাবাড়ী রোডে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে, এতে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।
এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকা মহানগরীতে ই-টিকিটিং পদ্ধতি চালু করা হয়। নতুন ব্যবস্থায় গাজীপুর-ঢাকা রুটের ২১টি পরিবহন কোম্পানির ২ হাজার ৬১০টি বাস নির্দিষ্ট কাউন্টার থেকে যাত্রী ওঠানামার নিয়মে পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সব বাসকে গোলাপি রঙে রঙ করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে উত্তরা আজমপুর থেকে এই সেবা চালু করে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী ঢাকার বিশৃঙ্খল ট্রাফিক ব্যবস্থার চিত্র তুলে ধরে বলেন, “রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থার অবস্থা এতটাই নাজুক যে, এটি বর্ণনারও অযোগ্য। বাসগুলো একে অপরকে গরু-মহিষের মতো ধাক্কা দেয়। এই পরিস্থিতি থেকে আমাদের বের হতে হবে।”
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রথম ধাপে চারটি রুটে কাউন্টার পদ্ধতি চালু করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে—
১. গাজীপুর-আবদুল্লাহপুর রুট
২. মানিকগঞ্জ-ধামরাই-সাভার হয়ে ঢাকায় প্রবেশ করা বাস
৩. বছিলা-মোহাম্মদপুর থেকে আসা বাস
৪. মিরপুর থেকে ছাড়া বাস
বাস শ্রমিকরা নতুন নিয়মের বিরোধিতা করে দাবি তুলেছেন, কাউন্টার ব্যবস্থার পরিবর্তন আনতে হবে এবং তাদের স্বাভাবিক যাত্রী ওঠানামার পদ্ধতি বহাল রাখতে হবে। তাদের অভিযোগ, এই নিয়ম শ্রমিকদের স্বার্থের বিরুদ্ধে যাচ্ছে এবং আয় কমিয়ে দিচ্ছে।
আসিফ