কুষ্টিয়ায় দুই সন্তানের জননী এক গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। নিহত ওই গৃহবধুর নাম সাথি খাতুন (২২)। তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ও ব্লেড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কেটে হত্যা করা হয়। আজ সোমবার (১০ ফেব্রয়ারী) সকালে কুমারখালী উপজেলার সদকী ইউনিয়নের করাতকান্দি গ্রামে স্বামীর বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে গৃহবধুর স্বামী ইটভাটি শ্রমিক সীমান্ত (৩০) পলাতক রয়েছে। সাথি খাতুন একই ইউনিয়নের মালিয়াট গ্রামের মনছুর শেখের মেয়ে।
নিহতের পারিবার থেকে অভিযোগ করা হয়, সাথি খাতুনের স্বামী সীমান্ত পরকীয়া সম্পর্কে জড়িত ছিল। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাদের দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। বিষয়টি মীমাংসার জন্য পারিবারিকভাবে একাধিকবার সালিস বৈঠক করা হলেও কোন সমাধান হয়নি। একপর্যায়ে সীমান্তের শ্বশুর মনছুর শেখ ৯০ হাজার টাকা জামাইকে দিয়ে পরকীয়া সম্পর্ক ছিন্ন করার অনুরোধ করেন। কিন্তু এর পরেও গতকাল রবিবার সীমান্তকে তার পরকীয়া প্রেমিকার সঙ্গে ঘোরাঘুরি করতে দেখে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ফের বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে সিমান্ত লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ও ব্লেড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কেটে স্ত্রী সাথি খাতুনকে হত্যা করে। পরে লাশের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়ে সে পালিয়ে যান।
এ ব্যাপারে কুমারখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিপ্লব বিশ্বাস বলেন, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তে প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সিমান্ত সহ তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে।
রকিব/সাজিদ
