ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৪ মার্চ ২০২৫, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১

সুন্দরগঞ্জে দুই প্রাইমারি স্কুলে চরম অব্যবস্থাপনা

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা

প্রকাশিত: ২০:১৪, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সুন্দরগঞ্জে দুই প্রাইমারি স্কুলে চরম অব্যবস্থাপনা

সুন্দরগঞ্জে চরম অব্যবস্থাপনায়  মধ্য দিয়ে চলছে ভোরের পাখি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চর কাপাসিয়া ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। এতে সরকারি অর্থের ব্যয় হলেও মিলছে না কাক্সিক্ষত সফলতা। যেন দেখার কেউ নেই। রবিবার দুপুর ১টায় সরেজমিনে ভোরের পাখি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, এ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ রয়েছেন ৪ জন শিক্ষক। এর মধ্যে ৩ জন সহকারী শিক্ষকের উপস্থিত পাওয়া গেলেও হাজিরা খাতায় প্রধান শিক্ষক অনুপস্থিত। প্রধান শিক্ষক সায়ফুর রহমান মণ্ডল নির্বাচন অফিসে চলে গেছেন।
খাতা কলমে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থী রয়েছেন ৭২ জন। এ দিন হাজিরা খাতা অনুযায়ী দেখা যায় শিশু শ্রেণিতে ১৪ জনের মধ্যে উপস্থিত ১০ জন, প্রথম শ্রেণিতে ২০ জনের মধ্যে ১০ জন, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ১৫ জনের মধ্যে ২ জন, তৃতীয় শ্রেণিতে ৫ জনের মধ্যে ২ জন, চতুর্থ শ্রেণিতে ৬ জনের মধ্যে ১ জন, পঞ্চম শ্রেণিতে ১২ জনের মধ্যে ১ জন শিক্ষার্থীর উপস্থিতি পাওয়া যায়। এ বিদ্যালয়ে ২ শিফট অনুযায়ী সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শিশু, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি এবং দুপুর ১২টা হতে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাঠদান চলার কথা। এর মধ্যে বিরতি থাকবে দুপুর ১টা হতে দেড়টা পর্যন্ত। অথচ দুপুর ১টায় বিদ্যালয়টিতে কোনো শিক্ষার্থীর উপস্থিতি না পাওয়া গেলেও এ সময় হাজিরা খাতায় তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী হাজিরা দেখানো হয়েছে। শিক্ষকদের এমন কর্মকাণ্ডে সন্দেহ করা হয় বিদ্যালয়টি টিকিয়ে রাখার জন্য শুধু খাতা-কলমে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দেখানো হলেও বাস্তবে নেই।
স্থানীয়রা  জানান, প্রধান শিক্ষক নিয়মিত আসেন না। এ ক্লাস্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার সঠিক তদারকির অভাবে চরম অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে চলছে বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম। যেন দেখার কেউ নয়। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে প্রধান শিক্ষক সায়ফুর রহমান মণ্ডল এর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে জানান, আমি ব্যস্ত আছি। পরে কথা হবে। অপর দিকে, ঐদিন  সরেজমিনে চর কাপাসিয়া ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় কোনো শিক্ষক শিক্ষার্থী নেই। বিদ্যালয়ের দরজায় তালা ঝুলছে।
স্থানীয়রা জানান, একটু আগে ছুটি দিয়ে সবাই চলে গেছে। বিদ্যালয়টি ২ শিফটের হলেও প্রতিদিন ২টার দিকে ছুটি দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ করা হলেও এর কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, আমি বাইরের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। বিদ্যালয়ে না থাকার সুবাদে সহকারী শিক্ষকরা তাড়াতাড়ি ছুটি দিয়েছে। এ বিষয়ে এ দুটি ক্লাসটারের দায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষা অফিসার মুকুল চন্দ্র বর্মণ জানান, আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না।  বিষয়টি খতিয়ে  দেখব।

×