![স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/14-2502081852.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
গাজীপুর পারিবারিক কলহের জেরে গলাকেটে স্ত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছে তার স্বামী। শনিবার বিকেলে মহানগরীর কোনাবাড়ী বাইমাইল এলাকায় তাদের ভাড়া বাসা থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত সোহাগ হোসেন (২৫) সিরাজগঞ্জ জেলার তারাস উপজেলার ধাপ তেতুলিয়া গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে এবং তার স্ত্রী মৌ আক্তার বৃষ্টি (২০) একই জেলার সান্দুরিয়া গ্রামের মোবারক হোসেনের মেয়ে। তারা বাইমাইল মধ্যপাড়া কাদের মার্কেট এলাকার বাসায় ভাড়া থেকে বসবাস করতেন।
ওই বাড়ির মালিকের ছেলে দেওয়ান মোহাম্মদ রাসেল বলেন, শনিবার দুপুর পর্যন্ত সোহাগ- মৌ দম্পতির ঘরের দরজা বন্ধ দেখে এবং তাদের কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীরা অনেকবার ডাকাডাকি করলেও তারা দরজা খুলেনি। পরে বিকেলে আবারো দরোজার সামনে গিয়ে ডাকাডাকি করেন তারা। এসময়েও ওই দম্পতির কোন সাড়া পাননি প্রতিবেশীরা। একপর্যায়ে ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখে ৯৯৯ ফোন দেয়া হয়। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে মেঝেতে গৃহবধূ মৌয়ের লাশ এবং গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার স্বামীর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়।
নিহত মৌয়ের চাচা রতন মিয়া বলেন, প্রায় দুই বছর আগে পারিবারিকভাবে সোহাগ ও মৌয়ের বিয়ে হয়। মৌ সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে পড়াশোনা করতো। তার স্বামী সোহাগ কোনাবাড়ী ব্রাক এনজিওতে অ্যাকাউন্স অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। চলতি মাসের ১ তারিখে তারা ভাড়া বাসায় উঠেন। এমন ঘটনা কেন ঘটালো বুজতে পারছি না।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোনাবাড়ী থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, ৯৯৯ এর মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং নিহত দম্পতির লাশ উদ্ধার করে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জের ধরে এমন ঘটনা ঘটেছে। প্রথমে স্ত্রীকে হত্যা করে পরে ওই স্বামী আত্মহত্যা করেছে। সিআইডির ক্রাইমটিম ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এম.কে.