![দৌলতদিয়া পাড়ে অকেজো চার ফেরিঘাট দৌলতদিয়া পাড়ে অকেজো চার ফেরিঘাট](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/15-2502081447.jpg)
ঘাটে অলস পড়ে রয়েছে পরিত্যক্ত পন্টুন
দৌলতদিয়া পাড়ে ৭টি ঘাটের মধ্যে ৪টি ফেরিঘাট দীর্ঘদিন যাবৎ অকেজো। তিনটি ঘাট জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। একাধিক পন্টুুন অব্যবস্থাপনায় পড়ে রয়েছে। দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকা ঘুরে দেখা ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দৌলতদিয়া পাড়ে ১, ২, ৫ ও ৬ নং ফেরিঘাট অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে দীর্ঘদিন যাবৎ। ৩, ৪ ও ৭ নং ফেরিঘাট জরাজীর্ণ অবস্থায় চলমান রয়েছে। চলমান ৭নং ফেরিঘাটের ৩টি পকেট এর মধ্যে ২টি পকেট বন্ধ রয়েছে। ৪নং ফেরিঘাটের পন্টুনে ২টি পকেট রয়েছে। ৩নং ফেরিঘাটে ৩টি পকেট রয়েছে। অকেজো ও বন্ধ ঘাটগুলোর মধ্যে ১নং ফেরিঘাট এর সংযোগ সড়ক দখল হয়ে বসতি এবং অবৈধ যানবাহন অর্থাৎ নসিমন-করিমন গাড়ি পাকিং গড়ে উঠেছে। ২নং ফেরিঘাট এখন বাল্কহেড ঘাট হয়েছে। যেখান দিয়ে প্রতিদিন মালপত্র লোড-আনলোড হয়ে থাকে।
৫নং ফেরি ঘাট নদী ভাঙনের কবলে পরে। অর্ধেক বিলুপ্ত ঘাট ৩ বছরেও সচল করার ব্যবস্থা করা হয়নি। ৬নং ফেরিঘাট পাইপ দিয়ে বন্ধ করে বালু আনলোড করছে একটি মহল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক রিক্সা চালক বলেন, সচল ৬নং ফেরিঘাট কার স্বার্থে বন্ধ রাখা হয়েছে। কিভাবে ৬নং ফেরিঘাট এর ওপর বালু ব্যবসায়ীরা পাইপ নিয়ে আনলোড ড্রেজার বসিয়েছে। অবশ্যই ঘাট সংশ্লিষ্টরা অবগত রয়েছে। তিনি বলেন, ঘাটের দায়িত্বরা কিভাবে এর দায় এড়াবে। ৫নং ঘাটের চা ব্যবসায়ী লালন বলেন, ৫নং ফেরিঘাট দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ রয়েছে।
এদিকে ঘাট সংকটে ফেরিগুলো সময় মতো লোড-আনলোড হতে পারে না। এদিকে এই ঘাটে পন্টুনগুলো অব্যবস্থপনায় পরে রয়েছে দীর্ঘদিন যাবৎ। তিনি বলেন, কোটি কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হচ্ছে কিন্ত দায়িত্বরত কর্মকর্তারা নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছেন। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে নিয়মিত চলাচলরত একাধিক যাত্রীর সাথে কথা বলে জানা যায়, এক সময় দৌলতদিয়া ঘাটে দীর্ঘ যানজট থাকলেও এখন রয়েছে অব্যবস্থাপনা। ঘাট সংকটে থাকায় ১ঘণ্টার অধিক সময় অপেক্ষা করে যানবাহন লোড-আনলোড করতে হয়। দুর্ভোগ যেন নতুন রূপে আগমন হয়েছে।
৭নং ফেরি ঘাটের দুই পাশে অবস্থানরত একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, প্রায় ৩মাস যাবৎ ৭নং ফেরি ঘাটে ড্রেজিং করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও ড্রেজিং শেষ হচ্ছে না। কিভাবে ড্রেজিং করা হচ্ছে বুঝতে পারছি না। ব্যবসায়ীরা আরও বলেন, বিআইডব্লিউটিএ ড্রেজিং বিভাগ এর অপরিকল্পীত ড্রেজিংয়ের কারণে ৭নং ফেরিঘাট জরাজীর্ণ অবস্থায় সচল রয়েছে। মাঝে মধ্যে বন্ধ রেখে ড্রেজিং করা হয়।
বিআইডব্লিউটিএ এর কর্মরত একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পদ্মা নদীতে নাব্য সংকটের কারণে ফেরিগুলো প্রায় ৩ কিলোমিটার ভাটিতে ঘুরে চলাচল করতে হয়। সহজে চলাচল করার জন্য একটি চ্যানেল তৈরি করছে ড্রেজিং বিভাগ। কিন্ত অর্ধেক কাজ করে ড্রেজিং বন্ধ রাখা হয়েছে। বাধ্য হয়ে ফেরিগুলো দীর্ঘ নৌপথ ঘুরে চলাচল করছে। তাহলে এত টাকা ব্যয় করে কি কারণে অর্ধেক ড্রেজিং করা হলো।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, দৌলতদিয়া পারে ৭টি ঘাটের মধ্যে ৩, ৪ ও ৭নং ফেরিঘাট সচল রয়েছে।
বাকি ঘাটগুলো অকেজো রয়েছে। তবে দৌলতদিয়া পাড়ে ফেরি ঘাট সংকট নেই।