![গোপন ব্যালটে বিএনপির তৃণমূল নেতৃত্ব নির্বাচন গোপন ব্যালটে বিএনপির তৃণমূল নেতৃত্ব নির্বাচন](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/03-2502081331.jpg)
ছবি: প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃত্ব নির্বাচনে প্রথমবারের মতো গোপন ব্যালটে সরাসরি ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৮ জানুয়ারি) রায়পুর মহিলা কলেজে আয়োজিত এ নির্বাচনে সভাপতি পদে নূরুল হুদা নান্টু এবং সাধারণ সম্পাদক পদে শাহ আলম বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।
সভাপতি পদে মোট ১৭২ ভোটের মধ্যে নূরুল হুদা নান্টু পেয়েছেন ১০৭ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ ফজলুল করিম খোকন পেয়েছেন ৪১ ভোট এবং মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া পেয়েছেন ১৫ ভোট।
অন্যদিকে, সাধারণ সম্পাদক পদে শাহ আলম ১৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, যেখানে তার প্রতিদ্বন্দ্বী জাকির হোসেন পেয়েছেন ৩২ ভোট।
বেলা ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা বিএনপির নেতা ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত এডভোকেট হারুন অর রশীদ।
নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে নবনির্বাচিত সভাপতি নূরুল হুদা নান্টু বলেন, "এই নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চার সুযোগ পেয়েছেন। আমাদের লক্ষ্য হবে সংগঠনকে আরও সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করা।"
সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, "এ বিজয় শুধু আমার নয়, এটি দলের প্রতিটি নেতাকর্মীর বিজয়। আমি সকলের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে দলকে আরও সুসংহত করতে চাই।"
পৌর বিএনপি আহ্বায়ক ও সাবেক মেয়র এবিএম জিলানী বলেন, "রায়পুর বিএনপির রাজনীতিতে আজ একটি নতুন দিগন্তের সূচনা হলো। তৃণমূল পর্যায়ে গোপন ব্যালটে নেতৃত্ব নির্বাচন নিঃসন্দেহে গণতান্ত্রিক চর্চার অনন্য উদাহরণ।"
সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবু জাহের বলেন, "এ ধরনের নির্বাচন আরও বেশি করে আয়োজন করা হলে সংগঠন আরও শক্তিশালী হবে এবং নেতাকর্মীদের মধ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতার মনোভাব গড়ে উঠবে।"
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নুরে হেলাল মামুন, ডা. মুকুল মিয়াজী, আব্দুল মজিদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম লিটন, আনিসুল হক আনিস, এসএম মোরশেদসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
স্থানীয় নেতারা মনে করছেন, গোপন ব্যালটে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন বিএনপির গণতান্ত্রিক চর্চাকে আরও সুসংহত ও শক্তিশালী করবে। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীরা তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা পেয়েছেন, যা দলের সাংগঠনিক ভিত্তিকে আরও মজবুত করবে।
এম.কে.