![বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতের হামলা বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতের হামলা](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/25-2502080737.jpg)
ছবি: দৈনিক জনকণ্ঠ
কলাপাড়ার পায়রা বন্দর সংলগ্ন গভীর বঙ্গোপসাগরে ‘এফবি মা’ নামের একটি মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতদের হামলায় তিন জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাতে পায়রা বন্দর থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে সাগরবক্ষে এ ঘটনা ঘটে। মারধর ও গুলিতে আহত জেলেরা হলেন জালাল শরীফ (৫৫), মো. শাহআলম (৪৫) এবং মিজানুর রহমান (২৫)। তাদের সকলের বাড়ি মহিপুরের নিজামপুর ও বিপিনপুর গ্রামে।
শুক্রবার বিকালে আহতদের উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর আহত জালাল শরীফকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে পাঠান, কারণ তার চোখে গুলির আঘাত রয়েছে। বাকি দুজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় কলাপাড়া হাসপাতালে রয়েছেন।
এফবি মা ট্রলারের মাঝি সরোয়ার জানান, ১৩ জন জেলে নিয়ে মাছ ধরতে গভীর সাগরে গিয়েছিলেন। গতকাল রাতে ট্রলারটি পায়রা বন্দর এলাকায় পৌঁছালে একদল ডাকাত তাদের ট্রলারে বন্দুক দিয়ে ছররা গুলি করে। গুলিতে ৩ জেলে গুরুতর আহত হন। এরপর ডাকাতরা ট্রলারে উঠে বাকি জেলেদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে। ডাকাতরা প্রায় ৩ লাখ টাকা মূল্যের ইলিশ মাছ, ১২টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, জ্বালানি তেলসহ প্রায় ৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নেয়।
ডাকাতরা ট্রলারের মালিকদের প্রাণভিক্ষা ও ট্রলারটি না নেওয়ার অনুরোধ শুনে মালামাল নিয়ে চলে যায় এবং চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে শুক্রবার দুপুরে ট্রলারটি মহিপুর মৎস্য বন্দরে এসে মালিককে বিষয়টি জানায়।
মহিপুর মৎস্য আড়ৎদার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুমন দাস বলেন, "এফবি মা নামের ট্রলারে ডাকাতির ঘটনা আমাদের চিন্তার কারণ হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করছি।"
মহিপুর থানার ওসি মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখব।
রেজা