![মামলার স্বাক্ষী হওয়াই কাল হলো নৈশ প্রহরী মিজানের মামলার স্বাক্ষী হওয়াই কাল হলো নৈশ প্রহরী মিজানের](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/13-34-2502080552.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে বেঁধে রাখা হয় গাছের সাথে। পিটিয়ে করা হয় আহত। দেওয়া হয় নারীর শ্লীলতাহানীর অভিযোগ। জোরপুর্বক স্বীকারোক্তি আদায় করে করা হয় ভিডিও। এখানেই শেষ নয়। থানায় কল দিয়ে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। একটি মামলার স্বাক্ষী হওয়াকে কেন্দ্র করে বর্বপাচিত ঘটনাটি ঘটেছে মিজানুর রহমান নামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরীর উপর।
মিজানুর রহমান নোয়াখালী হাতিয়া পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের গুল্যাখালী গ্রামের ছালাউদ্দিনের ছেলে। সে গুল্যাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী। সম্প্রতি এ ঘটনায় মিজানের স্ত্রী ফারজানা আকতার বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন।
হাতিয়া থানায় করা মামলা সূত্রে জানা যায়, মিজানুর রহমানের সাথে একই বাড়ীর আবু কাউছারদের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এর আগে কয়েকবার মিজানুর রহমানের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। একাধিকবার এসব বিষয়ে গ্রাম্য শালিশ বৈঠক বসে।
এরই জের ধরে সম্প্রতি মিজানুর রহমান তার বাড়ীতে যাওয়ার পথে রাতের অন্ধকারে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হামলা করে। এ সময় তাকে বেধড়ক পিটিয়ে তার সাথে থাকা নগদ অর্থ, মোবাইল, মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে তাকে রশি দিয়ে বেঁধে একটি ঘরে নিয়ে মিথ্যা অপবাদ দেয় এবং ছবি তোলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেয়।
ফারজানা আকতার বলেন, আমার স্বামীকে মারধর করে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। কিছুদিন আগে বাড়িতে অন্য একটি পক্ষের সাথে জায়গা নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় আমার ম্বামীকে স্বাক্ষী করা হয়। এতে আসামীরা ক্ষীপ্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমার স্বামীর উপর হামলাকারীদের বিচার চাই।
হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে এম আজমল হুদা জানান, ফারজানা আক্তার বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এবিষয়ে আমাদের তদন্ত চলছে, অভিযুক্ত আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মুহাম্মদ ওমর ফারুক