ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩১

চলাচলে দুর্ভোগ

পাহাড়ি ঢলে বিধ্বস্ত মহাসড়ক মেরামত হয়নি আজও

সংবাদদাতা, নালিতাবাড়ী, শেরপুর

প্রকাশিত: ২৩:১৯, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

পাহাড়ি ঢলে বিধ্বস্ত মহাসড়ক মেরামত  হয়নি আজও

.

টানা ভারি বর্ষণ উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের ভয়াবহ বন্যায় বিধ্বস্ত শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী-বারোমারী-শেরপুর মহাসড়কটি এখনো জেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বিধ্বস্ত হওয়ার তিন মাস অতিবাহিত হলেও আজও মেরামত করা হয়নি সড়ক জনপথ বিভাগের দুই লেনের ওই মহাসড়কটি। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন ওই সড়কে চলাচলকারী ছোট বড় মাঝারি ভারিসহ সবধরনের যানবাহন এবং পথচারীরা।

সূত্রে জানা গেছে, গত অক্টোবর স্মরণকালের ভয়াবহ পাহাড়ি ঢলের বন্যার মুখোমুখি হয় ভারত সীমান্তবর্তী জেলা শেরপুর। ওই বন্যার ভয়াবহতায় পানির তোড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী-বারোমারী শেরপুর সড়ক। এতে দুই লেন সড়কের দুইটি স্থানে বড় আকারে ভাঙনসহ সড়কের দুইপাশে অন্তত ৩০০ মিটার ভেঙে গেছে? এতে জেলা শহরের সঙ্গে যানচলাচল বন্ধসহ ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকাবাসী? এমতাবস্থায় যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করে জনদুর্ভোগ কমাতে দ্রুত রাস্তা মেরামতসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি ভুক্তভোগীদের।

সড়কের এই বেহাল দশায় জেলার একমাত্র নাকুগাঁও স্থলবন্দর, বারোমারী মিশন, বারোমারী বাজার, নন্নী উচ্চ বিদ্যালয়, নন্নী পোড়াগাঁও মৈত্রী কলেজ, নন্নী ইউনিয়ন পরিষদ, নন্নী উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ গুরুত্বপুর্ণ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পৌঁছতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থী স্থানীয়দের। বন্যায় সড়কটি বিধ্বস্ত হওয়ার তিন মাস পেরিয়ে গেলেও মেরামত তো দূরের কথা, এক মুঠো মাটিও ফেলেনি সড়ক জনপথ বিভাগ (সওজ) কর্তৃপক্ষ। যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করতে তৈরি করেনি বিকল্প কোনো ব্যবস্থা। ফলে দুর্ভোগ কমছে না যাতায়াতকারীদের।

শিক্ষার্থী শারমিন আক্তার বলেন, রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় আমাদের যাতায়াত খুব সমস্যা হচ্ছে। বার বার অটোরিক্সা পরিবর্তন করে চলাচল করায় ভাড়াও বেশি লাগছে। সন্ধ্যা হয়ে গেলে এখন গাড়িও পাওয়া যায় না? এতে প্রতিদিন কলেজে যাওয়াই এখন কষ্টের।

ওই এলাকার কৃষক ইউসুফ আলী বলেন, ভারী কোনো জিনিস নিয়ে এখন এই পথে যাতায়াত করতে পারি না। বাঁশের মাঁচা দিয়ে এই ভাঙা পথ পার হয়ে চলাচলে খুবই কষ্ট হয়। সড়কটি দ্রুত মেরামত করা হলে আমাদের খুব উপকার হতো। অটোচালক হারেজ আলী বলেন, দীর্ঘ ভাঙা সড়কের দুই পাশে আমরা অটোরিক্সা নিয়ে যাত্রীর অপেক্ষায় থাকি? এই পথে কোনো পণ্য নিয়ে যাতায়াত করা যায় না। এতে যাত্রীও কমে গেছে, আমাদের আয় রোজগার একদম কমে গেছে। ব্যাপারে জানতে চাইলে শেরপুর সড়ক জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিরুল ইসলাম বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ একাধিকবার বিধ্বস্ত সড়কটি পরিদর্শন করে যাওয়ার পর আমরা কিছু অর্থ বরাদ্দ পেয়েছি? ভাঙা অংশে দুটি কালভার্ট নির্মাণসহ নকশা করে বিধ্বস্ত সড়কটি মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

 

×