ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩১

আট গ্রামের মানুষের জন্য নড়বড়ে সেতুই ভরসা

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফটিকছড়ি

প্রকাশিত: ২১:১৬, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ২১:১৭, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আট গ্রামের মানুষের জন্য নড়বড়ে সেতুই ভরসা

উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নের গজারিয়া খালে কাঠের সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার

উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নের গজারিয়া খালের ওপর পাকা সেতু না থাকায় কাঠের সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে ৮ গ্রামের মানুষ। বর্তমানে এটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। নড়বড়ে এ সেতু দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ ও দুই শতাধিক যানবাহন যাতায়াত করেন। গজারিয়া খালের ওপর নির্মিত অস্থায়ী কাঠের সেতুটি দিয়ে কাঞ্চনা, বড় বেতুয়া, ছোট বেতুয়া, সন্দ্বীপ পাড়া, উত্তর বান্দর মারা, দক্ষিণ বান্দরমারা, মুজাহিদপুর, চুড়ামনিসহ আট গ্রামের অন্তত দুই হাজার মানুষকে নিত্যদিন চলাচল করতে হয়। সরেজমিনে দেখা যায়, কয়েকটি গাছের খুঁটির ওপর বিপদজনকভাবে দাঁড়িয়ে আছে কাঠের সেতুটি। সেতুটি তুলনামূলক সরু হওয়ায় যানবাহন চলাচল করতে হয় এক লাইনে। যার কারণে উভয় পাশে হরহামেশা যানজটের সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি সেতুর উভয় পাশে রেলিং না থাকায় দুর্ঘটনা যেন নিত্যসঙ্গী। স্থানীয় স্কুল শিক্ষক নুরুল হক বলেন, সেতুটি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপারে বাধ্য হচ্ছেন গ্রামের সাধারণ মানুষ ছাড়াও খালের দুই পাড়ে গড়ে উঠা স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসাসহ চার-পাঁচটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শত-শত শিক্ষার্থী। চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় তাদের। অথচ এখানে একটি পাকা সেতু নির্মাণ হলে বদলে যাবে এ অঞ্চলের অর্ধলক্ষ মানুষের জীবনমান। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী তন্ময় নাথ বলেন, গজারিয়া খালের মুজাহিদপুর নামকস্থানে সেতু নির্মাণ সময়ের দাবি। সেতুটির গুরুত্ব বিবেচনা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

×