ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১

বাউফলে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ২০

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ২১:৪০, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বাউফলে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ২০

ছবি: নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল পটুয়াখালী

বাউফলে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে।আহতদের মধ্যে পৌর ছাত্র দলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ, ৭নং ওয়ার্ডের ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক সাজিদ (২০), ৬নং ওয়ার্ড ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক অন্তর (২১), ৮নং ওয়ার্ড ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক রেদোয়ান (২০), বরিশাল মহানগর ছাত্র দলের সদস্য ইলিয়াস (২৭) ও ছাত্র দল নেতা কাওসার (২৭) কে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে পৌর শহরের ৮নং ওয়ার্ডের বাংলাবাজার চৌমাথার কাছে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, পৌর ছাত্র দলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল ফাহাদের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন ছাত্র দলের নেতা-কর্মী বাংলাবাজার এলাকার চৌমাথায় বিএনপির সাবেক এমপি সহিদুল আলম তালুকদারের জনসভা পোস্টার লাগাচ্ছিলেন।

এ সময় কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা ইঞ্জিনিয়ার একেএম ফারুক আহমেদ তালুকদার গ্রুপের নাজিরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন খান, তার ছেলে সাইফুল ইসলাম, ছাত্র দল নেতা সাকিব ও রনি নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জনের একটি দল জিআই পাইপ ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় এবং ছাত্র দলের নেতা-কর্মীদের পিটিয়ে জখম করে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে বিএনপির সাবেক এমপি সহিদুল আলম তালুকদারের কয়েকশ কর্মী-সমর্থক তাৎক্ষণিকভাবে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।

এ বিষয়ে নাজিরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন খান হামলার ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, "ছাত্র দল নেতা আব্দুল্লাহ আল ফাহাদের নেতৃত্বে ১০-১২টি মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়া দেয়ার সময় আমার তিন ছেলে সাইফুল, রনি ও সাকিবকে পথে পেয়ে মারধর করা হয়। এ সময় হুড়োহুড়ি শুরু হলে তারা মোটরসাইকেল থেকে পড়ে আহত হতে পারে।"

বাউফল থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, "ঘটনা শুনেছি, তবে কেউ অভিযোগ করেননি।"

রেজা

×