![প্রথমবার পাকিস্তান থেকে চিটাগুড় আমদানি, দাম কমার আশা প্রথমবার পাকিস্তান থেকে চিটাগুড় আমদানি, দাম কমার আশা](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/chita-2502061426.jpg)
ছবি: দৈনিক জনকণ্ঠ
পাকিস্তান থেকে চিটাগুড় নিয়ে পানামার পতাকাবাহী একটি জাহাজ মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বন্দরের ৮নং জেটিতে নোঙর করে চিটাগুড়বাহী জাহাজ এমটি ডলফিন-১৯। এ সময় বন্দরের কর্তৃপক্ষ আমদানিকারকদের স্বাগত জানায়।
শুল্ক বৃদ্ধি হওয়ার কারণে ভারতকে বাদ দিয়ে প্রথমবারের মতো পাকিস্তান থেকে চিটাগুড় আমদানি করা হয়েছে। এই জাহাজে সাড়ে ৫ হাজার মেট্রিক টন চিটাগুড় রয়েছে। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, এই আমদানির ফলে দেশে চিটাগুড়ের দাম কমবে।
২২ জানুয়ারি পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে পণ্য বোঝাই করে মোংলার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় জাহাজটি। সাত মিটার ড্রাফট ও ১৪৫ মিটার দৈর্ঘ্যের জাহাজে ৫ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চিটাগুড় রয়েছে। চিটাগুড় খালাস শেষে কিছু অংশ মোংলার ইউনাইটেড রিফাইনারি অ্যান্ড বাল্ক স্টোরেজ লিমিটেড-এ পরিশোধন করা হবে এবং বাকি অংশ রাজশাহী বিভাগের সিরাজগঞ্জ জেলার াঘাবাড়িতে সড়ক ও নৌ-পথে পাঠানো হবে।
আগে বাংলাদেশি ফিডমিলগুলো ভারত থেকে চিটাগুড় আমদানি করত, তবে ভারত রপ্তানির ওপর শুল্ক বাড়ানোর কারণে এবার পাকিস্তান থেকে চিটাগুড় আমদানি করা হচ্ছে। এতে করে চিটাগুড়ের দাম কমবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান পিঅ্যান্ডপি ট্রেডিংয়ের প্রোপাইটর আনোয়ারুল হক।
তিনি বলেন, "এক সময় বাংলাদেশে ১৩টি সুগার মিল ছিল এবং সেই সময় বাংলাদেশ থেকে চিটাগুড় রপ্তানি করা হতো। আমরা ১৯৮৯ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে চিটাগুড় রপ্তানি করেছি। তখন বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আসত। কিন্তু বেশিরভাগ মিল বন্ধ হওয়ার পর আমরা ভারত থেকে চিটাগুড় আমদানি করতে শুরু করি। কিন্তু ভারত হঠাৎ করে চিটাগুড় রপ্তানিতে শুল্ক বৃদ্ধি করে, যার ফলে দাম বেড়ে যায়। এখন পাকিস্তান থেকে আমদানি করায় আশা করছি কম দামে সরবরাহ করতে পারব এবং দেশের পশু লালন-পালন খাতে সমৃদ্ধি আনতে পারব।"
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হার্বার অ্যান্ড মেরিন) এমডি শফিকুল ইসলাম সরকার বলেন, "নতুন নতুন পণ্য আমদানি-রপ্তানি হলে বন্দরের আয় ও ব্যস্ততা বৃদ্ধি পায়। আমদানি ও রপ্তানিকারকদের মোংলা বন্দরের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।"
চিটাগুড়, যা সুগার মিলের বর্জ্য জাতীয় একটি পণ্য, মূলত চিনি উৎপাদনের সময় সুগার মিল থেকে সংগৃহীত গাঢ়, চিটচিটে ও চিনিসমৃদ্ধ উপাদান। এক সময় বাংলাদেশে ১৩টি সুগার মিল চলত, কিন্তু এখন বেশিরভাগ মিল বন্ধ হয়ে গেছে এবং কিছু মিল সচল রয়েছে। ব্যবসায়ীরা মনে করেন, যদি বাংলাদেশের সব সুগার মিল সচল রাখা যায়, তবে চিটাগুড়সহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করতে হবে না এবং দেশে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।
রেজা