ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১

ধুনটে দুইশ’ বছরের মাছের মেলা

নিজস্ব সংবাদদাতা, ধুনট, বগুড়া

প্রকাশিত: ২২:০১, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ধুনটে দুইশ’ বছরের মাছের মেলা

উপজেলায় কালেরপাড়া ইউনিয়নে বকচর এলাকায় মাছের মেলা

ধুনট উপজেলায় কালেরপাড়া ইউনিয়নে বকচর এলাকায় ২০০ বছরের অধিক সময় ধরে আয়োজন করা হচ্ছে মাছের মেলা। অনেকে আবার এই মেলাকে জামাই মেলা হিসেবে চিনে থাকেন। মেলায় জামাই ও শ্বশুর কে কত বড় মাছ কিনলেন, সেটি নিয়ে চলে একধরনের প্রতিযোগিতা।

এখানকার মানুষের কাছে এই মাছের মেলা এখন ঐতিহ্যের অংশ, একটি উৎসব। বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, চারদিকে ফসলের মাঠ। কেউ ধান রোপণ করছেন, কেউবা সবজি। মাঝের একটি ফাঁকা মাঠে বসেছে মাছের মেলা। সকালে নানা স্থান থেকে সেই মেলায় মানুষ ছুটে আসছে। এর আগে ট্রাক, পিকআপ ও অটোরিক্সায় মাছ ব্যবসায়ীরা বড় বড় মাছ নিয়ে হাজির হয়েছেন মেলায়। দুপুরের মধ্যে দূরদূরান্ত থেকে আসা মাছের ক্রেতাদের ভিড়ে কোথাও যেন থাকার জায়গা নেই। তার মধ্যে সমানতালে চলছে মাছের বেচাবিক্রি।
প্রতিবছর মাঘ মাসের তৃতীয় সপ্তাহের বুধবার এ মেলা বসে। দিনটির জন্য সারা বছর অপেক্ষায় থাকে মানুষজন। এদিন এলাকার বসত বাড়িগুলোতে থাকে নতুন পুরানো অতিথি দিয়ে ভরা। বকচরসহ আশপাশের গ্রামে যারা বিয়ে করেছেন, সেসব জামাই এই মেলার মূল ক্রেতা। জামাইরা সবচেয়ে বড় মাছ কিনে খুশি মনে শ্বশুরবাড়ি নিয়ে যান। আবার জামাইদের আপ্যায়ন করতে শ্বশুরপক্ষও মেলা থেকে মাছ কিনে নিয়ে যান বাড়িতে।

ব্যবসায়ীরা থরে থরে সাজিয়ে রেখেছে মাছ। কেউ মাছ কিনেছেন, কেউবা দেখছেন আর ছবি তুলছেন।  মাছ ছাড়াও মেলায় বিক্রি হয় হরেক রকম পণ্য। মাছ ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান জানান, তিনি প্রায় ২০ বছর ধরে মেলায় মাছ বিক্রি করছেন। তবে গ্রামের মুরব্বিরা জানান, ২০০ বছর আগে এই মেলার প্রচলন শুরু হয়েছে। এটি মাছের মেলা হলেও মানুষ এটাকে জামাই মেলা হিসেবে চেনে। মেলা উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছেন অনেকে।

মোরেলগঞ্জে পিঠা উৎসব 
নিজস্ব সংবাদদাতা, মোরেলগঞ্জ, বাগেরহাট থেকে জানান, মোরেলগঞ্জে পিঠা উৎসবকে ঘিরে তারুণদের উপচে পড়া ভিড়। মন কেড়েছে জামাই কুলি। ১২টি পিঠার স্টলই যেন বাহারি সাজে সেজেছে, সকলে ছুটছেন পৌর পার্কে। বুধবার বিকেল ৩টায় মোরেলগঞ্জ উপজেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র পৌর পার্কে আয়োজিত তারুণ্যের উৎসব অনুষ্ঠানকে ঘিরে এ পিঠা উৎসবের আয়েজন করা হয়।

বিভিন্ন স্টলগুলোতে বাহারি সাজে এলাকাভিত্তিক পরিচিত দিনাজপুরের ননাই, সিরেঠের নোনা, বাগেরহাটের চিতাই, মালাই কেক, ভাপা, বাকন, সংকর, কুলি, ডিম সুন্দরী, ফুল, সন্দেস, আড়িশা, পান্তুয়া, শুকনা পাকানসহ নানা রকমের বাহারি পিঠায় সেজেছে স্টলগুলো অপরূপ সাজে। সবচেয়ে আলোচিত জামাই কুলি মন কেড়েছে সকলের।  
উৎসবে অংশ নেয়া ১২৩নং মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেহানা পারভীন রিয়া, বারইখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ, প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম, গাবতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক : নাছরিন কেয়া, মডেল একাডেমির পরিচালক নাহিদ মাহমুদসহ একাধিক শিক্ষকগণ বলেন, বাঙালির প্রায় হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।

×