ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১

নেত্রকোনায় যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা, স্বামী আটক

নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা ।।

প্রকাশিত: ১৭:৩৮, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ১৭:৩৯, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

নেত্রকোনায় যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা, স্বামী আটক


যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে পিটিয়ে ও শ্বাস রোধ করে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে সদর উপজেলার আমতলা (পূর্বপাড়া) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  বুধবার বিকেলে এ ব্যাপারে সদর থানায় মামলা হয়।  পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী রমজান মিয়াকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে। 

নিহত নারীর নাম সালমা বেগম (২৪)। তিনি মোহনগঞ্জ উপজেলার পালগাও গ্রামের আলতু মিয়ার মেয়ে এবং পূর্ব আমতলা গ্রামের রমজান মিয়ার স্ত্রী। আর গ্রেপ্তার রমজান মিয়া আমতলা গ্রামের হাসেম মিয়ার ছেলে।

জানা গেছে, ছয় বছর আগে রমজান মিয়ার সঙ্গে সালমার বিয়ে হয়। তাদের চার বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। রমজান জুয়া খেলায় আসক্ত ছিল। বিভিন্ন সময় সালমাকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে চাপ দিত। কিন্তু সালমা তাতে আপত্তি জানালে তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতো। এসব বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। আরও জানা গেছে, গত দুই বছর ধরে রমজান সালমাকে নিয়ে ঢাকায় বসবাস করছিল। কিন্তু মাস দুয়েক আগে সে স্ত্রীকে ঢাকায় রেখে গ্রামের বাড়িতে চলে আসে। তারপর মঙ্গলবার সালমা ও তার ছেলেকে ঢাকা থেকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। আবার ওই দিন রাতেই সালমাকে শ্বাসরোধ ও পিটিয়ে হত্যা করে বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রমজানকে গ্রেপ্তার করে। এ ব্যাপারে নিহতের বড়ভাই সবুজ মিয়া গতকাল বুধবার বিকেলে রমজান মিয়াকে প্রধান করে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। অন্য আসামিরা হল: রমজানের দুই ভাই জুয়েল মিয়া, জামাল মিয়া ও তাদের মা-বাবা। 

সালমার বড়ভাই সবুজ মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘রমজান মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা আমার বোনকে মারধর ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। হত্যার পর রমজান ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর এবং নিজের মাথা নিজে দেয়ালে ঠেকিয়ে আহত হয়। তখন প্রতিবেশীসহ স্থানীয় লোকজন বাড়িতে এসে ঘটনাটি বুঝতে পারে এবং রমজানকে আটক করে থানায় খবর দেয়। তখন পুলিশ এসে রমজানকে গ্রেপ্তার করে। 

নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, নিহত সালমার লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। রমজান মিয়াকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সাজিদ

×