ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১

বাংলাভিশন সাংবাদিক ও যুবদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন

নিজস্ব সংবাদদাতা,কলাপাড়া,পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ১৩:৫৯, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ১৪:০০, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বাংলাভিশন সাংবাদিক ও যুবদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন

বাংলাভিশন টেলিভিশনের কলাপাড়া উপজেলা প্রতিনিধি ও কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিরণকে বেধড়ক কুপিয়ে হাতের রগ কর্তনসহ হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে কুয়াকাটায় সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষ মানববন্ধন করেছে। 

কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে বুধবার দুপুরে  এ মানববন্ধন করা হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন, প্রেসক্লাব সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার, সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির, কুয়াকাটা পৌর জামায়াতের আমির মো. শহিদুল ইসলাম। 

পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন ঘরামি,বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান, ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার সেক্রেটারি জেনারেল জহিরুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রেদওয়ানুল ইসলাম রাসেল। বক্তারা আগামি তিনদিনের মধ্যে বর্বর, নৃশংস এই হামলায় জড়িত সন্ত্রাসী গ্রেপ্তারের দাবি জানান। পাশাপাশি  তিন দিন বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন অব্যাহত থাকবে। অন্যথায় বৃহৎ কর্মসূচি পালন করা হবে। 

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে কুয়াকাটা পৌরসভার নিজ বাসার সামনে একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত নির্মমভাবে হামলা চালায় মিরন নামের এক ব্যক্তির ওপর। ভয়াবহ এই হামলায় এক হাতের রগ কেটে দেওয়া হয়, অপর হাতের কব্জি প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, মাথা, চোখ, পেটসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে বেধড়ক কুপিয়ে অচেতন অবস্থায় রাস্তায় ফেলে যায় হামলাকারীরা।

মিরনের পরিবারের দাবি, এটি ছিল পরিকল্পিত হত্যার চেষ্টা। তাকে নির্মমভাবে জখম করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। মুমূর্ষু অবস্থায় স্বজনরা দ্রুত উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশালে স্থানান্তর করা হয়। পরবর্তীতে আজ বুধবার ভোরে উন্নত চিকিৎসার জন্য মিরনকে ঢাকার এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার মধ্যরাতে ঢাকা থেকে ফেরেন মিরন। গাড়ি থেকে নেমে বাসায় ঢোকার আগমুহূর্তে সশস্ত্র হামলাকারীরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলে যায়। তার এক হাতের রগ কেটে দেওয়া হয়, অন্য হাতের কব্জি ঝুলতে থাকে। কপাল, মাথা, পেটসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গভীর ক্ষতচিহ্ন রয়েছে।

ঘটনার খবর পেয়ে মহিপুর থানার ওসি মো. তরিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি জানান, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে হামলাকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে

আফরোজা

×