ছবি: সংগৃহীত
ফল আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফল আমদানি বন্ধ ঘোষণা করেছেন আমদানিকারকরা। এতে সরকার বড় অঙ্কের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং আসন্ন রমজান মাসে ফলের বাজারে বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই ব্যবসায়ীরা ফল আমদানি বন্ধ রাখেন। বাংলাদেশ ফ্রেশ ফুড অ্যাসোসিয়েশন সরকারকে অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহারের জন্য আল্টিমেটাম দিলেও তা কার্যকর না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান আমদানিকারক আব্দুল মান্নান। তিনি বলেন, "ফল আমদানিতে শুল্ক কমানো না হলে বাজারে সরবরাহ সংকট দেখা দেবে, ফলে দাম বেড়ে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে।"
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি আলহাজ মহসিন মিলন জানান, গত ৯ জানুয়ারি সরকার আমদানি করা তাজা ফলের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করেছে। এর ফলে আমদানি কমে যাওয়ায় বাজারে সংকট সৃষ্টি হয়েছে এবং ফলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি আরও জানান, বেনাপোল বন্দর থেকে প্রতিদিন শুধু ফল আমদানির মাধ্যমেই সরকারের প্রায় ২৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হতো। কিন্তু আমদানি বন্ধ থাকায় সরকার বড় ধরনের রাজস্ব ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার সুশান্ত পাল বলেন, "আজ সকাল থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে কোনো ফলের ট্রাক প্রবেশ করেনি। অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে ব্যবসায়ীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য আমদানি বন্ধ রেখেছেন। আগে প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ ট্রাক ফল আমদানি হতো, যা এখন অর্ধেকে নেমে এসেছে।"
এভাবে চলতে থাকলে আসন্ন রমজান মাসে ফলের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে এবং সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তাবিব