আরাফাত খান
বরগুনা তালতলীতে মোটরসাইকেল চালক আরাফাত খান (২২) কে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় সোহেল সিকদারকে প্রধান আসামী করে ৩৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার রাতে নিহত আরাফাতের বাবা আব্দুল জলিল খান বাদী হয়ে তালতলী থানায় এই হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত মোঃ সাগর নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠিয়েছে। আদালতের বিচারক শেখ আনিসুজ্জামান ওইদিন বিকেলে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার বিবরণী অনুযায়ী, কলারং গ্রামের শহীদ সিকদারের কচুপাত্রা বাজারের কীটনাশকের দোকানে শনিবার রাতে তার দুই ছেলে সোহেল সিকদার, আরাফাত সিকদার ও ভাতিজা বায়েজিদ সিকদারসহ ৩০-৩৫ জন ক্রিকেট খেলা দেখছিল। ওই সময় মোটরসাইকেল চালক আরাফাত খান এবং তার বন্ধু হাবিবুল্লাহ খেলা দেখতে আসে। খেলা নিয়ে আরাফাত খানের সঙ্গে সোহেল সিকদারের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে সোহেল সিকদার, আরাফাত সিকদার, শহীদ সিকদার, বায়েজিদ সিকদারসহ আরও কিছু আসামী ধারালো অস্ত্র দিয়ে আরাফাত খানকে কুপিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহত আরাফাত খানের বাবা আব্দুল জলিল খান বাদী হয়ে সোহেল সিকদারকে প্রধান আসামী করে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে ৩৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার অন্য আসামীরা হলেন আরাফাত সিকদার, শহীদ সিকদার, ফয়সাল সিকদার, বায়েজিদ সিকদার, রফিকুল ইসলাম বদু, সফিকুল ইসলাম মধু, নজরুল ইসলাম মন্টু, মোঃ সাগর, জাকির হোসেন বাবুল, কাওসার হাওলাদার, জসিম মৃধা, নাজমুল মৃধা, মাহমুদুল ওরফে মিলন মৃধা এবং আজাদ হাওলাদার। এ ঘটনায় পুলিশ সাগর নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
মামলার বাদী আব্দুল জলিল খান বলেন, "সোহেল সিকদারকে প্রধান আসামী করে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে ৩৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার চাই।"
তালতলী থানার ওসি মোঃ শাহজালাল বলেন, "আরাফাত হত্যার ঘটনায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে ৩৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সাগরকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, অপর আসামীদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।"
রেজা