ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩১

প্রবাসী এনামুল হত্যার বিচারের দাবি পরিবারের

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর

প্রকাশিত: ১৯:০৯, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ১৯:১৪, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

প্রবাসী এনামুল হত্যার বিচারের দাবি পরিবারের

ছবিঃ সংগৃহীত।

ভিডিও করার অভিযোগে প্রবাসী এনামুল হক ইমামুলকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি এবং নিরাপত্তা চেয়েছেন তার পরিবার। মঙ্গলবার গাজীপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নিহতের বড় বোন মোসা. পারভিন এই দাবি জানান। 

সংবাদ সম্মেলনে মোসাঃ পারভিন জানান, তার ছোট ভাই কাপাসিয়া উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের তিলশুনিয়া গ্রামের এনামুল হক ওরফে ইমামুল প্রায় ১৭ বছর বিদেশে থাকার পর সম্প্রতি দেশে ফেরেন। গত ১৩ জানুয়ারি সকালে তিনি কৃষিকাজের জন্য নগদ টাকা সংগ্রহ করতে পারভিনের স্বামীর বাড়ি ধলিসুতায় আসেন। পরে সেখান থেকে টাকা নিয়ে নিজ বাড়ি তিলশুনিয়ার উদ্দেশে রওনা দেন। পথে চাঁদপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কিছু লোকজনকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দৌড়ে প্রবেশ করতে দেখেন তিনি। এসময় কৌতূহলবশতঃ এগিয়ে যান এবং ঘটনাটি ভিডিও করতে গেলে ১৫-১৬ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তার উপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা এনামুলকে বেধড়ক মারধর করে এবং তার মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। 

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, পরিবারের সদস্যরা এনামুলকে আহত অবস্থায় গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসা শেষে তিনি বাড়ি ফিরলেও ১৫ জানুয়ারি বিকেলে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার আরও অবনতি হলে রাত ১১টার দিকে ঢাকায় নেওয়ার পথে উত্তরা এলাকায় পৌঁছালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

পারভিন অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার পরদিন ১৪ জানুয়ারি তারা এনামুলের ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইল ও টাকা ফেরত চাইলে স্থানীয় বিএনপি’র কয়েক নেতা নিহতের পরিবারের কয়েক সদস্যকে হুমকি দেন। পরে পুলিশ তিলশুনিয়া গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে আশরাফুলের কাছ থেকে এনামুলের ছিনিয়ে নেয়া মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে।

তিনি দাবি করেন, এনামুলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার ঘটনায় জড়িতরা প্রভাবশালী। হত্যাকাণ্ডের পরও অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা নিহতের ময়না তদন্তের রিপোর্টের উপর প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে। এমনকি নিহতের পরিবারকে প্রতিনিয়ত নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। ফলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে নিহত এনামুলের ৬ বছর বয়সী একমাত্র শিশুসন্তান রিয়াদসহ পুরো পরিবার। তিনি এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত এবং নিহতের পরিবারের নিরাপত্তার দাবি জানান। এসময় তিনি এ ব্যাপারে প্রশাসন ও সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়েছেন।

মুহাম্মদ ওমর ফারুক

×