ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩১

 তিনশত বছর ধরে চলছে পটুয়াখালীর সপ্তমী মেলা

মো. এনামুল হক এনা, উপকূল প্রতিনিধি, বরিশাল

প্রকাশিত: ১৭:৪১, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

 তিনশত বছর ধরে চলছে পটুয়াখালীর সপ্তমী মেলা

ছবিঃ দৈনিক জনকণ্ঠ

পটুয়াখালীর বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর পাড়ে তিনশত বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী দয়াময়ী মাঘি সপ্তমী মেলা হাজারো দর্শনার্থীদের কোলাহলপূর্ণ উৎসব মুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ ৪ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) ভোর ৬টায় গলাচিপা উপজেলার চিকনিকান্দী ইউনিয়নের সুতাবাড়িয়া গ্রামের কালীপূঁজা ও শিবপূঁজার মধ্য দিয়ে এ মেলার কার্যক্রম শুরু হয়। ভোর থেকে সন্ধা পর্যন্ত ঢাক-ঢোল, শঙ্খসহ বিভিন্ন বাদ্য-বাজনা ও দর্শনার্থীদের কলরবে মুখরিত ছিল মেলা প্রাঙ্গন। 

ঐতিহ্যবাহী এই মেলায় অনেক শিশুর বাৎসরিক মাথা মুন্ডন করা হয়। এছাড়া মেলার কালী মন্দিরে পাঠা বলিদান হয়। মেলায় রঙ বেরঙের আকর্ষণীয় বিভিন্ন খেলনার দোকান, পল্লী বাসীদের স্ব হস্তে তৈরিকৃত বুনন শিল্পের সামগ্রী, গৃহস্থলীর ব্যবহার্যতৈজস পত্রের পণ্য সামগ্রী, মাটির তৈরি বাসন-কোসনের হরেক রকম দোকান, মিষ্টি সামগ্রীর দোকান, খাবারের দোকানের পসরা বসে।

এ বিষয়ে মাঘী সপ্তমী মেলা কমিটির সভাপতি গনেষ চন্দ্র জানান, অর্থের অভাবে মেলার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তবে সবাই যদি দান করেন তাহলে আগামীতে আরও সুন্দার করে এ মেলা আয়োজন করা সম্ভব।

এ বিষয়ে চিকনিকান্দী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বিবেক দেবনাথ বলেন, মেলায় দেশ-বিদেশের হাজার হাজার দর্শনার্থীদের পদচারনায় ঐতিহ্যবাহী দয়াময়ী মাঘি সপ্তমী মেলা কোলাহলপূর্ণ উৎসব মুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ ব্যাপারে দয়াময়ী মন্দিরের পুরোহিত দেবব্রত গাঙ্গলী বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে নদী ভাঙ্গনের ফলে স্থান সংকুলন না হওয়ায় মেলায় আগত মানুষদের দাঁড়িয়ে থেকে বেশ দুর্ভোগ সহ্য করে মেলার আনন্দ উপভোগ করতে হচ্ছে। তিনি আরো জানান, এই মেলাটি এ অঞ্চলের হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি তথা বিশেষভাবে শিশু-কিশোর ও তরুণ-তরুণীদের কাছে বিপুল আনন্দের খোরাক। এছাড়া সকল দল-মত ধর্ম নির্বিশেষে মেলায় মানুষের উপস্থিতি দারুণভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

মুহাম্মদ ওমর ফারুক

×