ছবিঃ সংগৃহীত
গভীর ঘুম কী?
এটি নন-র্যাপিড আই মুভমেন্ট (NREM) ঘুমের তৃতীয় স্তর, যেখানে মস্তিষ্কের কার্যকলাপ ধীর হয়ে আসে।
সাধারণত ঘুমের প্রথম অংশে গভীর ঘুম বেশি হয় এবং শরীর পুরোপুরি শিথিল থাকে।
গভীর ঘুমের উপকারিতা-
* শরীরের পুনরুদ্ধার ও মেরামত:
কোষ পুনর্গঠিত হয় ও শরীরের ক্ষতি সারানো হয়।
গ্রোথ হরমোন নিঃসরণ হয়, যা শিশুদের বৃদ্ধি এবং প্রাপ্তবয়স্কদের পেশি ও হাড়ের সুস্থতায় সহায়তা করে।
* ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী হয়:
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং দীর্ঘমেয়াদি অসুখের ঝুঁকি কমে।
* মানসিক সুস্থতা বজায় রাখে:
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়, মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমে যায়।
* সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা ভালো হয় এবং মানসিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।
গভীর ঘুমের অভাবজনিত সমস্যা-
* স্ট্রেস, উদ্বেগ ও মনোযোগ কমে যাওয়া।
* ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে পড়া।
* হৃদরোগ ও অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি।
গভীর ঘুম নিশ্চিত করার উপায়:
* নিয়মিত ঘুমের রুটিন বজায় রাখা।
* ঘুমের আগে স্ক্রিন টাইম কমানো।
* ক্যাফেইন ও নিকোটিন পরিহার করা।
* নিয়মিত শরীরচর্চা করা।
* শান্ত, অন্ধকার ও শীতল ঘুমের পরিবেশ নিশ্চিত করা।
ভালো ঘুম নিশ্চিত করলে আমাদের জীবন আরও সুস্থ ও সুখী হতে পারে। তাই এখন থেকেই গভীর ঘুমের প্রতি গুরুত্ব দিন!
আসিফ