ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১ মাঘ ১৪৩১

বাঁশ ঝাড়ে ঝুলে থাকা ফায়ার ফাইটারকে চোখের জলে বিদায়

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ০৫:৩৯, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বাঁশ ঝাড়ে ঝুলে থাকা ফায়ার ফাইটারকে চোখের জলে বিদায়

নিহত রফিকুল ইসলামের লাশ

কতোটা নির্মম, হৃদয় বিদারক পরিবেশের মধ্যদিয়ে সহকর্মী ও এলাকাবাসী চির বিদায় জানিয়েছেন ফায়ার ফাইটার রফিকুল ইসলামকে। পরিবারের সদস্য, স্বজন ও সহকর্মীরা চোখের জ্বল ফেলে রফিকুল ইসলামকে রবিবার বিকেলে চির বিদায় জানিয়েছেন। 

এসময় রফিকুলের মাত্র ছয় মাসের একমাত্র মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে উপস্থিত সবাই হতাশা প্রকাশ করেছেন। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা নিহত রফিকুলের পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন। ঘটনাটি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার পশ্চিম বার্থী গ্রামের।

ওই গ্রামের মোশাররফ হাওলাদারের ছেলে রফিকুল ইসলাম ছিলেন পটুয়াখালী জেলা সদরের ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের গাড়ির চালক। গত শুক্রবার ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে আসেন রফিকুল। পরের দিন বিকেলে বাড়ির পাশের একটি বাঁশ বাগানে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন রফিকুল ইসলাম।

স্থানীয় বাসিন্দা, পরিবারের সদস্য ও নিহত রফিকুল ইসলামের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা জানিয়েছেন, সম্প্রতি রফিকুল ইসলামের ছোট ভাই বার্থী তাঁরা মায়ের মন্দির সংলগ্ন এলাকায় মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। 

এরপূর্বে তার বোন মৃত্যুবরণ করেন। কয়েকদিনের ব্যবধানে আদরের ছোট ভাই ও বোনের মৃত্যু কোনভাবেই মেনে নিতে পারেননি রফিকুল ইসলাম। তাদের মৃত্যুর পর থেকেই রফিকুল ইসলাম অনেকটা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পরেন। পরিবারের একের পর এক শোক সইতে না পেরেই এক সন্তানের জনক রফিকুল ইসলাম গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।

গৌরনদী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন অফিসার মো. বিপুল হোসেন জানিয়েছেন, রফিকুল ইসলামের মৃত্যুতে ফায়ার সার্ভিসের পুরো ইউনিটের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে । 

তিনি আরও জানিয়েছেন, মরহুমের জানাজায় ফায়ার সার্ভিসের পটুয়াখালীর সহকারী পরিচালক ও গৌরনদী ইউনিটের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।

শহীদ

×