পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান রবিবার ঢাকার মিরপুরে খাল দখল ও দূষণমুক্ত কার্যক্রম পরিদর্শন করেন
আগামী বর্ষার আগেই রাজধানী ঢাকার ১৯টি খালে পানির প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে পারব বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন পরিবেশ ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। রবিবার লাল গালিচায় খালের ভাসমান এক্সেভেটরে উঠে খাল খননের উদ্বোধন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টা। রাজধানীর মিরপুর-১৩-তে ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটির ছয়টি খাল সংস্কার কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এ সময় সাংবাদিকরা লাল গালিচার কারণ জানতে চান।
আগের মেয়ররা এমন হাঁকডাক দিয়ে খাল উদ্ধারে নামতেন, এখনো আপনারা লালগালিচায় খালে নেমে উদ্বোধন করছেন। আগে হয়তো লালগালিচা ছিল না, কিন্তু এখন আছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমি এটা খেয়াল করিনি, হয়তো আপনি সেটা খেয়াল করেছেন। আগে খাল উদ্ধার হয়নি কিন্তু এখন আবার এই কার্যক্রম হাতে নিয়ে লাভ কী? এমনটা মনে হলে আমরা করবটা কী? আমাদের আট মাস কিংবা ১৪ মাসে পুরোটা করা সম্ভব হবে না কিন্তু শুরুটা তো করে দিতে পারি।
এদিন মিরপুর-১৩ নম্বর বাউনিয়া খালের মাধ্যমে ডিএনসিসি ও ডিএসসিসির আওতাধীন ছয়টি খাল সংস্কার কার্যক্রমের প্রথম ধাপে ঢাকা উত্তরের চারটি এবং ঢাকা দক্ষিণের দুটি খালের সংস্কার কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। মিরপুর-১৩-এর বাউনিয়া খালের অংশে প্রথমে কার্যক্রম শুরু হয়।
এ সময় বর্ষার আগেই রাজধানী ঢাকার ১৯টি খালে পানির প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে পারব বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন পরিবেশ ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, আমরা ৩-৪টি মন্ত্রণালয় বসে কীভাবে বর্ষার আগে খালগুলোতে প্রবাহ ফেরাতে পারি সেই বিষয়ে কাজ করছি। প্রথমে খনন করব, এরপর ধাপে ধাপে বাকি কাজে এগোব। আমরা চাই খালগুলো হবে প্রাণকেন্দ্র। এই খালে মশা ব্যতীত কিছুই নেই।
আমরা স্থানীয়দের নিয়ে কমিটি করে দেব। তারাই খাল দখল, দূষণ রোধে কাজ করবে। খালের পাড়ে সবুজ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করব। একইসঙ্গে খালে মাছ যাতে বাঁচে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। উপদেষ্টা বলেন, আমরা আশা করি এই বর্ষার আগে ১৯টি খালের পানির প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে পারব। আমরা এই ১৯টি খাল নিয়ে একটি মাস্টার প্ল্যান করার পরিকল্পনা করছি।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘এই ফেব্রুয়ারির মধ্যে আমরা ঢাকা শহরের চারটি নদীকে দূষণমুক্ত করার কাজ শুরু করব। দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, লন্ডন, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া বলেন, ১০ বছরের আগে কোনো দিনও কোনো নদীকে ওভাবে দূষণমুক্ত করতে পারেনি। বিষয়টি হচ্ছে এমন একটি অ্যাকশন প্ল্যান দেওয়া, যেখানে বলা থাকবে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বছর কী করা হবে, সেই কর্মপরিকল্পনা আমরা চূড়ান্ত করব।’
রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, ১৬ ফেব্রুয়ারি এডিবির একটি দল আসবে, তারা আমাদের নেপাল, ইন্দোনেশিয়া ও চীনে তারা কীভাবে তিনটি নদী পুনরুদ্ধার করেছিল, সেই অভিজ্ঞতা শেয়ার করবে। জিপিএস দিয়ে সব দূষণ ম্যাপিং করা হয়েছে। একেকটি নদীর নিচে তিন থেকে পাঁচ মিটার পলিথিনের স্তর রয়েছে বলেও জানান তিনি।
ঢাকা শহরের ভেতরের ও চারপাশের সব জলাধার তথা খাল, জলাশয় ইত্যাদির কার্যকর ব্যবস্থাপনা ও পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে নগরজীবনের পরিবেশগত, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন সাধন করতে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের আওতাধীন ছয়টি খাল সংস্কারকাজের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণের দুটি এবং উত্তর সিটি করপোরেশনের চারটি খাল খনন করা হচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে এ খনন কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, কীভাবে বর্ষার আগে খালগুলোতে প্রবাহ ফেরাতে পারি, আমরা তিন-চারটি মন্ত্রণালয় বসে কাজ করছি। প্রথমে খনন করব। এর পর ধাপে ধাপে বাকি কাজে এগোব।
তিনি বলেন, আমরা চাই খালগুলো হবে প্রাণকেন্দ্র। এই খালে মশা ছাড়া কিছুই নেই। আমরা স্থানীয়দের নিয়ে কমিটি করে দেব। তারাই খাল দখল ও দূষণ রোধে কাজ করবে। খালের পাড়ে সবুজ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করব। একইসঙ্গে খালে মাছ যাতে বাঁচে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, আমরা আশা করি, চলতি বর্ষার আগে ১৯টি খালের পানির প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে পারব। আমরা এই ১৯টি খাল নিয়ে একটি মাস্টারপ্ল্যান করার পরিকল্পনা করছি।
উপদেষ্টা আদিলুর রহমান বলেন, গত সাড়ে ১৬ বছরে কীভাবে লুটপাট ও দুর্নীতি হয়েছে, তারই একটি নিদর্শন খাল দখল এবং তাতে দূষণ। এরইমধ্যে টোটাইল বিল দখলমুক্ত করা হয়েছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কীভাবে করা যায় সে বিষয়ে কাজ হচ্ছে।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, খালের সমস্যা দীর্ঘদিনের, যার সমাধান মুহূর্তেই করা সম্ভব নয়। আমরা কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। তার মধ্যে ব্লু নেটওয়ার্ক তৈরি অন্যতম। তিনি বলেন, আমরা ১৯টি খাল উদ্ধারের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। ব্লু নেটওয়ার্ক একটি চ্যানেল তৈরি করে পার্কের মতো তৈরি করা হবে।
যাতে মানুষ খাল দেখে দূরে সরে না যায়, কাছে আসতে বাধ্য হয়। তিনি বলেন, আমরা কোনো প্রকল্পে না গিয়ে কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। কাজটি আমরা শুরু করে দিয়ে যেতে চাই, দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম ও প্রকল্প হাতে নিলে পরবর্তী সরকার এসে নেবে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ‘ঢাকা শহরকে যদি মানবদেহ কল্পনা করা হয়, তবে খালগুলো হচ্ছে শিরা-উপশিরা। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় খালগুলোতে প্রাণ ফিরিয়ে আনতে হবে, এজন্য খালগুলোকে করতে হবে দূষণমুক্ত, খনন এবং সংস্কার।’
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন সংস্কার নিয়ে কাজ করছে। নগর সমস্যা সমাধানে ঢাকা নর্থ মডেল পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে কেন্দ্র করে গড়া এই পরিকল্পনা নগর ব্যবস্থাপনার জন্য রোল মডেল হবে।’
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে ঢাকা বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ঢাকা শহরের অভ্যন্তরস্থ ও চারপাশের সকল জলাধার যেমন- খাল, জলাশয় ইত্যাদির কার্যকর ব্যবস্থাপনা ও পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে নগর জীবনের পরিবেশগত, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন সাধনের উদ্যোগ ও রূপরেখা গ্রহণ করা হয়েছে। ব্লু নেটওয়ার্ক হচ্ছে এরূপ রূপরেখা যেখানে ঢাকার ১৯টি খালকে প্রাণ ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।
ব্লু নেটওয়ার্কের উদ্যোগ যেন চলমান থাকে এবং খাল সংস্কার কার্যক্রমে নগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা এবং অংশগ্রহণ কামনা করেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা।
ডিএনসিসির প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান এনডিসি স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ঢাকা শহরে ব্লু নেটওয়ার্ক পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে ডিএনসিসির আওতাধীন খালের দখল ও দূষণমুক্ত করতে আমাদের সামর্থ্যের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করব, এই কাজে আমরা নিজেদের আত্মনিয়োগ করে খালগুলোর সংস্কারের মাধ্যমে একটি পর্যায় নিয়ে যেতে পারব। ঢাকা শহর ঐতিহ্যগতভাবে খাল, নদী, জলাভূমিবেষ্টিত প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ একটি অঞ্চল ছিল।
আমরা ক্রমান্বয়ে সেই ঐতিহ্য হারিয়েছি। অপরিকল্পিত নগরায়ন, আইন প্রয়োগে শৈথিল্য বিভিন্ন কারণে এই শহরের বাসযোগ্যতা সর্বনি¤œ পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। এখান থেকে পুনরুদ্ধার করে আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য শহর গড়তে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ডিএনসিসি সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দুই সিটির আওতাধীন ছয়টি খালের সংস্কারকাজ শুরুর জন্য মিরপুর-১৩ নম্বর সেকশনে রূপসী প্রো-অ্যাকটিভ ভিলেজ আবাসিক এলাকার বাউনিয়া খালসংলগ্ন রাস্তায় একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে ওই তিন উপদেষ্টাসহ অন্য কর্মকর্তারা বাউনিয়া খালের পাড়ে যান। এর আগেই খালে একটি ভাসমান খননযন্ত্র (ফ্লোটিং এক্সকাভেটর) এনে রাখা হয়।
খালের পাড় থেকে ওই ভাসমান খননযন্ত্রে যেতে অস্থায়ী একটি পথ তৈরি করা হয়। ওই পথে বিছানো ছিল লাল রঙের একটি কার্পেট। তিন উপদেষ্টাসহ অন্য কর্মকর্তারা ওই পথে হেঁটে খালে থাকা ভাসমান খননযন্ত্রের ওপরে যান। উপদেষ্টারা খননযন্ত্রে ওঠার পর যন্ত্রটি চালু করে খালের খননকাজের উদ্বোধন করা হয়। উপদেষ্টাদের নিয়ে খাল থেকে কয়েকবার যন্ত্রের সাহায্যে খনন করা মাটি পাড়ে ফেলা হয়।
খননকাজ শুরু করে দেওয়ার পর তিন উপদেষ্টাসহ অন্যরা খননযন্ত্র থেকে পাড়ে নেমে আসেন। এ সময় তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় এক গণমাধ্যমকর্মী পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকে একটি প্রশ্ন করেন। প্রশ্নটি ছিল, ‘আগে দেখতাম মেয়ররা এমন ধুমধাম করে উদ্বোধন করতেন। সেখানে হয়তো লালগালিচা থাকত না। কিন্তু আজকে দেখলাম আপনারা খালেই নামলেন লালগালিচার ওপর দিয়ে।’ এ বিষয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ওই সাংবাদিককে হেসে উত্তর দিয়ে বলেন, ‘ওটা তো অবশ্য আমি দেখিনি। ওটা অবশ্য আমি খেয়াল করিনি, আপনি খেয়াল করেছেন?’
তিন উপদেষ্টা লাল গালিচার ওপর দিয়ে আসায় ব্যাপক সমালোচনা দেখা দেয়। সামাাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ মূল ধারার গণমাধ্যমগুলোতেও এনিয়ে ¤িশ্র্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। বিকেলে এ ঘটনার ব্যাখ্যাও দিয়ে সিটি করপোরেশন।
লাল গালিচার ব্যাখ্যা ॥ খালে লাল গালিচা ও খাল সংস্কার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাসমান এক্সকেভেটরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, যেখানে ভাসমান এক্সকেভেটর রাখা হয়েছে তা কোনো স্থায়ী পন্টুনে স্থাপিত নয়, বরং একটি অস্থায়ী স্থানে রাখা হয়েছে।
এছাড়া এক্সকেভেটরে ওঠার রাস্তাটি অনেক ঢালু ও কাদা মাটির হওয়ায় এবং এক্সকাভেটরের ফ্লোর পিচ্ছিল থাকায় অতিথিদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করার জন্য এবং চলাচল এলাকা দৃষ্টিগ্রাহ্য করতে একটি লাল রঙের কার্পেট সদৃশ ম্যাট ব্যবহার করা হয়েছে। ডিএনসিসি অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে লক্ষ্য করেছে গণমাধ্যমে এসেছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ লাল গালিচায় হেঁটে খালে নামেন এবং ভাসমান এক্সকেভেটরে উঠে কাজের সূচনা করেন।
এটি কোনো আনুষ্ঠানিক লালগালিচা নয়, বরং শুধু নিরাপত্তার স্বার্থে রাখা একটি ব্যবস্থা। এখানে কোনো ধরনের অপব্যয় বা অতিরিক্ত শ্রদ্ধা প্রদর্শনের উদ্দেশ্য নেই। যেহেতু ভাসমান এক্সকেভেটরে ওঠানামার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ, তাই ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সব সময় স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা ও জনস্বার্থের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।