ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০ মাঘ ১৪৩১

রেমিটেন্স উৎসবে উপহার জিতে খুশি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিথি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার 

প্রকাশিত: ১৯:৪২, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

রেমিটেন্স উৎসবে উপহার জিতে খুশি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিথি

ছবিঃ সংগৃহীত।

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের রেমিট্যান্স উৎসবে লটারিতে সারা দেশের মধ্যে প্রথম হয়ে কানের দুল ও এক জোড়া হার পুরস্কার জিতেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিথি আক্তার। রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় কৃষি ব্যাংক ছয়ফুল্লাকান্দি বাজার শাখায় এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিথী আক্তারের হাতে পুরস্কার তুলে দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

বিথী আক্তারের স্বামী ও চার ভাই প্রবাসী। সবাই ব্যাংকের মাধ্যমে তাঁর কাছে রেমিট্যান্স পাঠান। গত বছর সুইডেনপ্রবাসী ভাই তাঁর কাছে রেমিট্যান্স পাঠান। এতে তিনি লটারি পদ্ধতিতে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের (বিকেবি) রেমিট্যান্স উৎসবে সারা দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকারি হন। 

বিথী আক্তার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার তেজখালী ইউনিয়নের বিষ্ণুরামপুর গ্রামের বাসিন্দা নুরুল ইসলামের ছোট মেয়ে। পাঁচ ভাই ও দুই বোনের মধ্যে বিথী সবার ছোট। বিথীর স্বামী কুয়েতপ্রবাসী আবুল কাশেম একই ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের বাসিন্দা। বিথীর বড় ভাই আলমগীর হোসেন মালয়েশিয়াপ্রবাসী, দ্বিতীয় ভাই জাকির হোসেন সুইডেনপ্রবাসী, তৃতীয় ও চতুর্থ ভাই জামিরুল ইসলাম ও কামরুল ইসলাম সিঙ্গাপুরপ্রবাসী এবং ছোট ভাই এমরান হোসেন গ্রামের একটি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। গত বছর সুইডেনপ্রবাসী ভাই জাকির হোসেন কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে গোপন নম্বরে বিথীর কাছে রেমিট্যান্স পাঠান।

কৃষি ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গত বছর ১৯ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত চার সপ্তাহব্যাপী রেমিট্যান্স উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এ সময়ের মধ্যে প্রবাসীরা গোপন নম্বরে কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে যাঁদের কাছে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, তাঁদের লটারির মাধ্যমে নির্বাচন করা হয়। প্রতি সপ্তাহে লটারিতে ১০টি করে মোট ৪১টি পুরস্কার বিতরণের জন্য বিজয়ীদের নির্বাচন করা হয়। সারা দেশে ১ হাজার ৩৮টি শাখার মধ্যে বাঞ্ছারামপুরের বিথী প্রথম নির্বাচিত হন।

রেমিট্যান্স উৎসব ও মেগা পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক-১ মো. আ. রহিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লার বিভাগীয় কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক আশরাফুজ্জামান খান, ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক গোলাম মো. আরিফ, প্রধান কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক (আন্তর্জাতিক ও হিসাব মহা বিভাগ) মো. মোস্তাফিজুর রহমান, কুমিল্লার উপমহাব্যবস্থাপক আবদুল আহাদ খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুখ্য আঞ্চলিক কার্যালয়ের মুখ্য আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক (উপমহাব্যবস্থাপক) মোহাম্মদ ইউসুফ খান ও শাহ রাহাত আলী কলেজের অধ্যক্ষ জাকির হোসেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কৃষি ব্যাংক ছয়ফুল্লাকান্দি বাজার শাখার ব্যবস্থাপক মো. মোসাব্বির হোসাইন।

কৃষি ব্যাংক সুত্রে জানা যায়, বিথী আক্তারের সুইডেনপ্রবাসী ভাই জাকির হোসেন গত বছর রেমিট্যান্স পাঠান। বিথী ভাইয়ের পাঠানো রেমিট্যান্স কৃষি ব্যাংকের বাঞ্ছারামপুর ছয়ফুল্লাকান্দি শাখা থেকে ১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা উত্তোলন করেন।

বিথী আক্তার লটারি জেতার ঘটনা সম্পর্কে বলেন, ‘আনুমানিক ১৫ দিন আগে বিকেলে ঘুমিয়ে ছিলাম। একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন আসে। কৃষি ব্যাংকের একজন বড় কর্মকর্তা জানালেন আমি মেগা পুরস্কার স্বর্ণের হারের জন্য মনোনীত হয়েছি। প্রথমে বিশ্বাস হয়নি। পরে গ্রামের ব্যাংক থেকে ফোন করে যখন একই বিষয় বলা হয়, তখন বিষয়টি বিশ্বাস হয়েছে।’ তিনি বলেন, পুরস্কার পাওয়ায় তিনি আনন্দিত। প্রবাসীদের ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাতে অনুরোধ জানিয়ে এই পুরস্কারের জন্য স্বামী ও ভাইকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান বিথী আক্তার।

Faruk

×