ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০ মাঘ ১৪৩১

রাবিতে কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের ৮৬তম জন্মদিন পালিত

নিজস্ব সংবাদদাতা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত: ১৮:৪৯, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

রাবিতে কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের ৮৬তম জন্মদিন পালিত

ছবিঃ সংগৃহীত

উপমহাদেশের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের ৮৬তম জন্মদিন পালিত হয়েছে।  রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে দিবসটি পালিত হয়৷ 

দিবসটি উপলক্ষে তাঁর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোট। এসময় কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি রায়হান ইসলাম বলেন, অসাম্প্রদায়িক চেতনার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হাসান আজিজুল হক। দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গণে তাঁর দর্শন ও সাহিত্যকর্মের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে।   তাঁর আদর্শ সাংস্কৃতিক কর্মীদের পাথেয়। জন্মদিনে মহান এই মানুষটির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন তিনি।

এ সময় জোটভুক্ত সংগঠন বাংলাদেশ গণশিল্পী সংস্থা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ড. অমিত কুমার দত্ত, সমকাল নাট্যচক্রের সভাপতি রিন্টু, তীর্থক নাটকের সাধারণ সম্পাদক সোহান ইসলাম, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সহসভাপতি সৌরভ কুমার, স্বননের আহ্বায়ক মিজান শেখ সহ অন্যান্য সাংস্কৃতিক কর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। 

১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের ২ ফেব্রুয়ারি বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার যবগ্রামে জন্মগ্রহণ করে হাসান আজিজুল হক। ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি যবগ্রাম মহারানী কাশীশ্বরী উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দে খুলনার শহরের অদূরে দৌলতপুরের ব্রজলাল কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। যৌবনকালেই ছাত্র রাজনীতিতে জড়িত থাকায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে চরম নির্যাতন ভোগ করেছেন তিনি। ১৯৫৮ সালে তিনি রাজশাহী সরকারি কলেজে থেকে দর্শনে স্নাতক ও ১৯৬০ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭৩ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে শিক্ষকতা শুরু করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোট গঠনেও তিনি উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন। ২০২১ সালে ১৫ নভেম্বর তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। 

আগুনপাখি, সাবিত্রী উপাখ্যান, সমুদ্রের স্বপ্ন শীতের অরণ্য, আত্মজা ও একটি করবী গাছ, জীবন ঘষে আগুন, একাত্তর : করতলে ছিন্নমাথা (২০০৫), কে বাঁচে কে বাঁচায় বরেণ্য এই কথাসাহিত্যিকের উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম। ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে একুশে পদকে ও ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন। ২০১৮ সালে এই অসামান্য গদ্যশিল্পী তার সার্বজৈবনিক সাহিত্যচর্চার স্বীকৃতি স্বরূপ “সাহিত্যরত্ন” উপাধি লাভ করেন।
 

আসিফ

×