
ছবি : জনকণ্ঠ
পটুয়াখালীতে নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস। এরই অংশ হিসেবে ভেজাল ও মেয়াদ উর্ত্তীণ খাদ্য নিষ্ক্রিয়ের জন্য পটুয়াখালীর হাট-বাজারে চালু হয়েছে ভ্রাম্যমাণ নিরাপদ খাদ্য পরীক্ষাগার।
আজ রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) পটুয়াখালীর বিভিন্ন এলাকার হাট বাজার থেকে খাদ্য সামগ্রীর নমুনা সংগ্রহ করেছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। এরপর মোবাইল ল্যাবরেটরীতে সংগৃহীত নমুনার গুনগত মান পরীক্ষা করা হয়েছে।
তাতে দেখা যায়, গরুর দুধে মিলছে ডিটারজেন্ট, গুঁড়া মরিচে ইটের গুঁড়া, আর সবুজ শাক সবজিতে মেশানো হচ্ছে মেলাসাইট গ্রীন। আর এসব খাবার গ্রহণের ফলে বড় রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

এদিকে ভ্রাম্যমাণ নিরাপদ খাদ্য পরীক্ষাগার স্থাপনে স্বস্তি পেয়েছে জেলার সাধারণ মানুষ। স্থানীয়রা জানান, ধারাবাহিকভাবে এ কার্যক্রম চলমান থাকলে রোধ হবে ভেজাল খাদ্যের বিস্তার।
জানা যায়, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় পটুয়াখালীতে চালু হয়েছে একটি করে ভ্রাম্যমাণ নিরাপদ খাদ্য পরীক্ষাগার। ৩৩টি খাদ্যপণ্যের মান যাচাই করতে সক্ষম এই পরীক্ষাগারটি।
খাদ্যে ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকলেই নেয়া হচ্ছে আইনগত ব্যবস্থা। মাসে অন্তত দুইবার জেলা ভিজিট করে পরীক্ষাগারটি। প্রতিদিন পরীক্ষা করে ২০-২৫টি নমুনা। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে এ উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

দৈনিক জনকন্ঠকে পটুয়াখালী জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা আবু রায়হান বলছেন, বরিশাল বিভাগ থেকে মাসে দু'বার করে জেলায় মোবাইল ল্যাব আসে। এতে সব মিলিয়ে ৩৩টি কেমিক্যাল টেস্ট করা যায়। এছাড়া নিরাপদ খাদ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রতি মাসে ২০- ২৫ বার বিভিন্ন হোটেল, রেস্তরায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে সাধারণ মানুষদের উদ্দেশে পরামর্শ জানতে চাইলে এই খাদ্য কর্মকর্তা আরো জানান, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হলে সকলের সচেতন হতে হবে। ফুড হেবিটে সতর্ক থাকতে হবে। ভাঁজাপোড়া আইটেম বিশেষ করে পোড়া তেলে ভাঁজা পুরি, সিঙারা, ছমুছা ও পরোটা থেকে দূরে থাকতে হবে।
খাদ্য কর্মকর্তা আবু রায়হান বলেন, সকলের উচিত নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে অবহিত হওয়া। গবেষণা বলছে, ৩৩ শতাংশ বড় রোগ হয় নিরাপদ খাদ্যের অভাবে। সারাদেশে খাদ্যে ভেজালের কারণে প্রতিনিয়ত বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। তাই খাদ্য গ্রহণে আরো বেশি সচেতনতা বাড়াতে হবে।
মো. এনামুল হক এনা/মো. মহিউদ্দিন