ছবি : সংগৃহীত
গত ৫ অক্টোবর আন্দোলনের মধ্যে দিযে সপ্তাহের সাত দিনই শিক্ষার্থীদের জন্য ‘হাফ পাস’ (অর্ধেক ভাড়া) চালুর ঘোষণা দিয়েছিলো বাস মালিক গ্রুপ।
কাগজে কলমে হাফ পাসের অনুমতি দেয়া হলেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাফ ভাড়া নিতোনা বাসের হেল্পাররা। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের গাড়িতে না ওঠানো, দূর্ব্যবহার করা সহ নানারকম অভিযোগ চলছিলো সোশ্যাল মিডিয়া তে।
তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজ রবিবার সকাল ১০ ফরিদপুর পুরাতন বাস স্ট্যান্ডের সামনে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। হাফ পাস বাস্তব ক্ষেত্রেই কার্যকর করা সহ ৯ টি দফার প্রস্তাব করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এসময় ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক, পুলিস সুপার এবং জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে তাঁদের দাবিগুলো পূরণ করার জন্য আশ্বস্ত করেন।
এছাড়া, প্রতিটি বাসে হাফ পাসের স্টিকার, হট লাইন নম্বর স্থাপনেরও আশ্বাস প্রদান করেন।
কিন্তু আজ সরেজমিনে দেখা যায়, ফরিদপুরের রাস্তায় কোনো লোকাল বাস চলাচল করছে না। যাত্রীর অতিরিক্ত চাপে এর সুবিধা নিয়ে রিক্সা, সিএনজি এবং অটো গাড়িগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ ভাড়া দাবি করছে। এতে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।
সরেজমিনে কথা বলে যাত্রীদের কাছে জানা যায়, আমাদের সাধারণ মানুষের উপর কেন এত দুভাের্গ। আমরা টাকা দিয়ে গন্তব্যে যাবো, এর মধ্যে গাড়ি পাচ্ছি না। যেসব গাড়ি চলছে তারাও দ্বিগুণ ভাড়া দাবি করছে।
আরেক যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, আমরা যাবো কোথায়! আমাদের মেরে ফেলুন।
বাসের ভাড়ায় শিক্ষার্থীদের হাফ পাস হওয়ার পর এভাবে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কতৃপক্ষকে এই বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানান তারা।
সাগর/মো. মহিউদ্দিন