কেশবপুরের আলোচিত উপসহকারী মেডিকেল অফিসার ফিরোজ কবিরকে ভ্রাম্যমান আদালত দুই মাসের জেল দিয়েছেন। তিনি সার্জারি ও মেডিকেল সার্টিফিকেট না থাকা সত্ত্বেও কেশবপুর কপোতাক্ষ ক্লিনিকে হার্নিয়া অপারেশন করার সময় আটক হন।
শনিবার রাত ৯ টার দিকে কেশবপুর কপোতাক্ষ ক্লিনিকে বায়সা গ্রামের ৬৫ বছর বয়সী লুতফর রহমানের হার্নিয়া অপারেশন করছিলেন ফিরোজ কবির। অপারেশন থিয়েটারে অপারেশন চলাকালীন কেশবপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি), হাসপাতালের চারজন ডাক্তার ও থানার পুলিশ বাহিনী উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমান আদালত বসান।
এ সময়, ডাক্তারী সনদপত্র না থাকার পরেও রোগী অপারেশন করার দায়ে ফিরোজ কবিরকে দুই মাসের কারাদণ্ড প্রদান করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
ফিরোজ কবির কেশবপুরের সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে চাকরি করেন। আলোচিত এই উপসহকারী মেডিকেল অফিসার সার্টিফিকেট ছাড়াই কেশবপুরের বিভিন্ন ক্লিনিকে বড় বড় অপারেশন করে আসছিলেন, এবং তিনি সবাইকে ম্যানেজ করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
অপারেশনের সহযোগিতায় ক্লিনিকের ম্যানেজার আব্দুল আহাদ জানান, অপারেশন বা ডাক্তারির বিষয়ে তার কোন অভিজ্ঞতা নেই। অপর সহযোগি রিতা নামের এক নার্স জানান, তার নার্সের কোন প্রশিক্ষণ বা সনদপত্র নেই, অথচ তিনি ৬-৭ বছর ধরে কপোতাক্ষ সার্জিক্যাল ক্লিনিক এ্যান্ড ডায়াগনোসিস সেন্টারে নার্স হিসেবে চাকরি করে আসছেন।
এছাড়া, অপারেশন থিয়েটারটি নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ছিল। ভ্রাম্যমান আদালত দেখতে পান, অপারেশনের সময় ফিরোজ কবির ভুয়া ডাক্তার হিসেবে কাজ করছিলেন এবং তার পরনে কোন গাউন বা মাক্স ছিল না, তিনি সেন্ডো গেঞ্জি পরে অপারেশন করছিলেন।
যদিও ভ্রাম্যমান আদালত ফিরোজ কবিরকে ২ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন, তবে অন্য অপরাধীদের ছাড় দেয়া ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় উপস্থিত জনতা বিরূপ মন্তব্য করেছেন।
নুসরাত