ছবি: সংগৃহীত।
ইজতেমার মাঠে সম্প্রতি একটি স্টলে "পেহেলওয়ান মিষ্টি রেওড়ি" নামে একটি মিষ্টি বিক্রি করতে দেখা গেছে, যা পাকিস্তানি ব্যক্তিরা তৈরি করেছেন। মিষ্টিটি মূলত তিল দিয়ে তৈরি, এবং শুরুতে মুসল্লিদের ফ্রি দেয়া হচ্ছিল। এই মিষ্টি খেতে রীতিমতো ভিড় জমাচ্ছেন আগত মুসল্লিরা।
কিন্তু কিছু সময় পরই সরল মুসল্লিদের ভুল ভাঙতে শুরু করে। অনেকেই যখন আরও মিষ্টি চাইছিলেন, তখন তাদের বলা হচ্ছিল এটি কিনে খেতে হবে। মিষ্টির দাম শুনে বেশিরভাগেরই চোখ চড়ক গাছ হয়ে যায়। একদিকে, দেশি তিলের খাজার দাম ৮০ থেকে ১০০ টাকা, অন্যদিকে, পাকিস্তানি মিষ্টিটির দাম রাখা হয়েছে পনেরশো টাকা কেজি—যা অনেকেই অতিরিক্ত বলে অভিযোগ তুলছেন।
বিগত কয়েকদিন ধরেই এই পাকিস্তানি মিষ্টি বিক্রি করতে ইজতেমার মাঠে উপস্থিত আছেন বিক্রেতারা। এটি পাকিস্তানের একটি বিশেষ খাবার হিসেবে পরিচিত হলেও, ইজতেমায় এর বিক্রি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। মুসল্লীরা মনে করছেন, এটি দেখতে এবং স্বাদে দেশি তিলের খাজার মতই, তবে দামটি অস্বাভাবিক।
পাকিস্তান থেকে আসা মিষ্টি বিক্রেতারা জানিয়েছেন, তারা এই মিষ্টি খাঁটি ঘি, তিল এবং দুধের সমন্বয়ে তৈরি করেছেন, যার কারণে এর দাম বেশি রাখা হয়েছে। তবে তারা সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, যেন ডিউটি ও ট্যাক্স কমানো হয়, যাতে তারা মিষ্টিটির দাম আরও কমিয়ে বিক্রি করতে পারেন।
এদিকে, ইজতেমা এলাকায় আগত মুসল্লিরা খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি দেশি-বিদেশি খাবারের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
নুসরাত