ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩১

রাজসিক সৌন্দর্যের ভিনদেশী ফুল

শীতের সকালে চায়ের চুমুকে মন রাঙাচ্ছে টিউলিপ

এ রহমান মুকুল

প্রকাশিত: ২৩:৪০, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

শীতের সকালে চায়ের চুমুকে মন রাঙাচ্ছে টিউলিপ

তেঁতুলিয়ার সীমান্তঘেঁষা এলাকায় ভিনদেশী টিউলিপ ফুলের চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। খেতে হাস্যোজ্জ¦ল উদ্যোক্তা

বিশ্বজুড়েই বাংলাদেশকে বলা হয় প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের দেশ। ছয় ঋতুর প্রায় প্রতিটিই এখানে আসে তার নিজ নিজ রূপ লাবণ্য নিয়ে। ঋতু বৈচিত্র্যের পসরা নিয়ে সারাবছরই দেশের উত্তরের দুয়ার পঞ্চগড় সাজে অপরূপ শোভায়। শীতকালে যেখানে চায়ের চুমুকে তেঁতুলিয়ার সীমান্তঘেঁষা এলাকায় মন রাঙাচ্ছে রাজসিক সৌন্দর্যের ভিনদেশী ফুল টিউলিপ।

শীত আর কুয়াশা সর্ব উত্তরের সীমান্তঘেঁষা উপজেলা তেঁতলিয়া এখন ধীরে ধীরে পরিচিতি পাচ্ছে টিউলিপের গ্রাম হিসেবে। চার বছর আগে কয়েকজন নারী উদ্দোক্তাকে দিয়ে  তেঁতুলিয়া উপজেলার দর্জিপাড়ায় শুরু হয় টিউলিপ চাষ প্রকল্প। অভাবনীয় সফলতার পর এবার চতুর্থবারের মতো এবার ১৩ জন নারী উদ্যোক্তা দুই একর জমিতে টিউলিপের চাষ করেছেন।  সেইচাষকৃত জমিতে এবারও ফুটতে শুরু করেছে টিউলিপ। বাণিজ্যসফল টিউলিপ ফুলের বাগান দেখে মনে হচ্ছে যেন একখ- নেদারল্যান্ড।  
সূর্যের আলো ও তাপ নিয়ন্ত্রণ করা বিশেষ ছাউনির নিচে সারি সারি টিউলিপ ফুটতে শুরু করেছে। এবার ফুটবে নয় রঙের টিউলিপ। ১৩ নারী উদ্যোক্তার এই সফলতায় দেশে টিউলিপ ফুল চাষের আশা জাগছে। বিশেষ করে  শীতপ্রবণ এ জেলাটিতে টিউলিপ ফুল চাষে বিপ্লব ঘটবে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ। 
তেঁতুলিয়ার দর্জিপাড়া গ্রামের টিউলিপ বাগানটিতে গিয়ে দেখা যায়, শত শত টিউলিপ সারি সারি ফুটে রয়েছে। অ্যান্টার্কটিকা হোয়াইট(সাদা), ডেনমার্ক (কমলা ছায়া), লালিবেলা (লাল), ডাচ সানরাইজ (হলুদ), স্ট্রংগোল্ড (হলুদ), জাণ্টুপিঙ্ক (গোলাপি), হোয়াইট মার্ভেল (সাদা), মিষ্টিকভ্যান ইজক(গোলাপি), হ্যাপি জেনারেশন (সাদা লাল ছায়া) এবং গোল্ডেন টিকিট (হলুদ) টিউলিপ ফুলে আর কলিতে ভরে গেছে বাগান। প্রতিদিনই নতুন নতুন ফুল ফুটছে । বাগানের সব গাছে ফুল ফুটতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। 
টিউলিপ ফুল চাষের ক্ষেত্রে দিনের বেলা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এই ফুল চাষ সহনশীল। এই ফুলের বাল্ব বা বীজ রোপণের দিন হতে ১৮-২০ দিনের মধ্যে কলি আসে এবং ২৫ থেকে ৬০ দিন পর্যন্ত এই ফুল স্থায়ী থাকে। এই ফুল ফোটাতে উচ্চ কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ফুলগুলো একটি শেডের নিচে চাষ হচ্ছে।

শেড একটি বিশেষ ধরনের পলিথিন দিয়ে ঢাকা। আর চারপাশ ছোট ছিদ্রযুক্ত নেট দিয়ে ঢাকা । পুরো শেডটিতে বিশেষ পদ্ধতিতে তাপ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণ করা হয় সূর্যের আলো। অনেক সময় আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে ফুল ফুটতে ব্যতিক্রমও হতে পারে।
হিমালয় কন্যাখ্যাত শীতপ্রবণ জেলা পঞ্চগড়। এ জেলায় বছরের চার মাসই শীতের আবহাওয়া থাকে। এই আবহাওয়াকে কাজে লাগাতে ক্ষুদ্র চাষিদের মাধ্যমে খামার পর্যায়ে টিউলিপ ফুল চাষের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। গত ৩ বছর পরীক্ষামূলক টিউলিপ চাষে সফলতার পর এ বছরও টিউলিপ চাষে উদ্যোগ নেয় বেসরকারি সংস্থা ইকো সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)। প্রকল্পটিতে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। আর প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে শীতপ্রধান এলাকা হিসেবে তেঁতুলিয়া উপজেলাকেই নির্বাচন করা হয়। 
গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর দর্জিপাড়া গ্রামে তিন বিঘা জমিতে ইএসডিও’র পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যক্ষ ড. সেলিমা আখতার অনলাইনে যুক্ত হয়ে টিউলিপ ফুলের বাল্ব (বীজ) রোপণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। নেদারল্যান্ডস থেকে আনা ৯ প্রজাতির ৯ টি রঙের ২০ হাজার টিউলিপ গাছের বাল্ব (বীজ হিসেবে ব্যবহৃত রূপান্তরিত কান্ড) রোপণ করা হয়।

এবার প্রতিপিছ বাল্বের দাম বেশি হওয়ায় কম রোপণ করা হয়। দর্জিপাড়া ও শারিয়ালজোত গ্রামের মোছা. সেলিনা আক্তার, মোছাঃ মোর্শেদা বেগম, মোছাঃ আনোয়ারা বেগম,  মোছাঃ মুক্তা পারভীন, মোছাঃ সুমি আক্তার, মোছা. আয়েশা বেগম,  মোছাঃ মনোয়ারা বেগম,  মোছা. বীণা বেগম, মোছাঃ শায়েকা সুলতানা সূর্বণা,  মোছা. রইসুন বেগম,  মোছাঃ বুলবুলি বেগম,  মোছা. রশিদা বেগম, মোছাঃ মনোয়ারা খাতুন।

এই ১৩ নারী উদ্যোক্তা এবছর টিউলিপ ফুল উৎপাদন করে ফুলের জগতে অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছেন। দর্জিপাড়ার এই বাগানে দোল খাচ্ছে বাহারি রঙের চোখ ধাঁধানো টিউলিপ, যা দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছে দূরদূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরা। মন মাতানো নজরকাড়া সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে টিউলিপ ফুলের সৌন্দর্যকে উপভোগ করছেন। গত তিন বছর ধরে বাগানে যখন টিউলিপ ফুল ফোটে তখন দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছিল। বিগত তিন বারের মতো এবারও ওই দুটি গ্রামে টিউলিপ ফুল ফোটায় দিন যত যাচ্ছে দর্শনার্থীদের আগমন বাড়ছে। 
টিউলিপ চাষী মোছাঃ সেলিনা আক্তার, জনকণ্ঠকে জানান, ঠান্ডার দেশের এই ফুল আমাদের তেঁতুলিয়াতে হচ্ছে। গত তিন বছর টিউলিপের চাষ করে সাফল্য পেয়েছি।  তাই এবছরও টিউলিপের চাষ করা হয়েছে। এখানে  বেশির ভাগ সময় ঠান্ডা অনুভূত হয়, এ জন্য ভালো টিউলিপ ফুল ফুটেছে। ইএসডিও কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় ঢাকার ফুল ব্যবসায়ীরা ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস এবং ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষ্যে  বাগানে এসে ফুল নিয়ে যাবেন। 
আরেক ফুলচাষী মোর্শেদা বেগম জনকণ্ঠকে জানান,  জমিতে বাল্বগুলো রোপণ করার ১৫ দিনের মধ্যেই ফুল ফুটতে শুরু করেছে। প্রতিদিনই এখানে অনেক দর্শনার্থী আসছেন। তারা টিউলিপ বাগানে এসে ঘুরছেন, ছবি তুলছেন। রংপুর থেকে ফুল দেখতে আসা শারমিন আক্তার জনকণ্ঠকে বলেন, এটি মুলত শীতকালীন দেশের ফুল।

তেঁতুলিয়ায় এই ফুল ফুটেছে তাই পরিবারসহ আগ্রহ নিয়ে দেখতে এসেছি। এখনও পুরোপুরি ফোটা শুরু করেনি। তার পরও খুব ভালো লাগলো। শারমিনের মতো পঞ্চগড় জেলাসহ আশপাশের অনেকে আসছেন এই ফুল দেখতে।
ইএসডিওর টিউলিপ প্রকল্পের সমন্বয়কারী মো. আইনুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, নেদারল্যান্ডস থেকে টিউলিপের একেকটি বাল্ব আনতে ৮০ টাকা খরচ হয়েছে। এবছর তিন বিঘা জমিতে ১৩ নারী উদ্দ্যোক্তাকে দিয়ে বাণিজ্যিকভাবে টিউলিপ ফুলের চাষ সম্প্রসারণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও অধিকসংখ্যক নারী উদ্দ্যোক্তাকে সংপৃক্ত করে বানিজ্যিকভাবে টিউলিপ ফুল চাষাবাদে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে তিনি জানান। 
চাষীদের পরিবারে আয় বাড়ানো ও অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা, বিদেশ থেকে টিউলিপ ফুল আমদানি নির্ভরতা কমানো, পঞ্চগড় জেলাকে পর্যটন এলাকা হিসেবে উপযোগী করে গড়ে তোলা এবং ভবিষ্যতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উন্নত মানের টিউলিপ ফুল উৎপাদনে প্রশিক্ষনের মাধ্যমে চাষিদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করাই ইএসডিও’র এই প্রকল্পের লক্ষ্য বলে জানান ইএসডিওর পরিচালক (প্রশাসন) ড. সেলিমা আখতার।
ইএসডিওর নির্বাহী পরিচালক ড. মুহম্মদ শহীদ উজ জামান জনকণ্ঠকে বলেন,  টিউলিপ ফুল চাষের মাধ্যমে আগামী দিনগুলোতে প্রান্তিক এবং ক্ষুদ্র চাষীদের মধ্যে একটি অর্থনৈতিক আয় এবং সম্ভাবনা যেমন অনেকাংশে বেড়ে যাবে একইভাবে পর্যটন শিল্পে তেঁতুলিয়ার যে বিদ্যমান কাঞ্চনজঙ্ঘাসহ অপূর্ব নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যরে একটি আধার রয়েছে সেটি আরও সম্প্রসারিত হবে এবং এটি এ অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে অনেক বড় ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

তিনি বলেন, ভবিষ্যতে টিউলিপ চাষ আরও বড় আকারে স¤প্রসারিত করার ইচ্ছা রয়েছে। এছাড়া ইকো ট্যুরিজম গড়ে তোলার বিষয়েও বেশ কিছু নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে যেমন পর্যটকদের পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধা, আবাসন সুবিধা, দেশীয় স্বাদে তেঁতুলিয়ার খাবারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে প্রকল্প এলাকায়। 
টিউলিপ ফলের বৈশিষ্ট্য ॥ টিউলিপ ফুলের   বৈজ্ঞানিক নাম টুলিপা। পাত্রে চাষাবাদের উপযোগী এক প্রকার পুষ্পজাতীয় উদ্ভিদ। এটি বাণিজ্যিকভিত্তিতে জমিতেও চাষ করা হয়। ভারতের জম্মু কাশ্মীরে টিউলিপের প্রসিদ্ধ বাগান রয়েছে যা পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পুরো বিশ্বে বিখ্যাত। এর অনেক প্রজাতির উদ্ভিদ দেখা যায়। বর্ষজীবী ও কন্দযুক্ত প্রজাতির এ গাছটি লিলিয়াসিয়ে পরিবারভুক্ত উদ্ভিদ।

সংকরায়ণসহ টিউলিপের সকল প্রজাতিকেই টিউলিপ নামে ডাকা হয়। টিউলিপ প্রায় ১৫০ প্রজাতিতে বিভাজ্য এবং অগণিত সংকর পজাতি রয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক প্রকার ফুল উৎপাদনকারী উদ্ভিদ। এটি বাগানে কিংবা কাট ফ্লাওয়ার হিসেবে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ করা হয়। টিউলিপ মূলত বর্ষজীবি ও শীতপ্রধান দেশের বসন্তকালীন ফুল হিসেবে পরিচিত। 
টিউলিপের চাষাবাদ  ॥ বাণিজ্যিকভিত্তিতে অটোম্যান সাম্রাজ্যে চাষাবাদ শুরু হলেও পরবর্তীকালে নেদারল্যান্ডে বাণিজ্যধর্মী আবাদ শুরু হয়। হল্যান্ড বিশ্বের প্রধান টিউলিপ উৎপাদনকারী এলাকা হিসেবে পরিচিত। বার্ষিক তিন বিলিয়নেরও অধিক টিউলিপ কন্দ উৎপাদন করে ও রপ্তানী আয়ের অন্যতম প্রধান উৎসরূপে বিবেচিত। নেদারল্যান্ডের সাথে টিউলিপের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান। চাষাবাদ প্রণালীকে প্রায়শই ডাচ টিউলিপ নামে আখ্যায়িত করা হয়।

দু’টি প্রধান কারণে টিউলিপ উৎপাদন করা হয়  যেমন,  ফুল উৎপাদন এবং শুষ্ক কন্দ উৎপাদন। উদ্যান, বাগান, গৃহে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে কন্দ উৎপাদন করা হয়। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ফুলের বিনিময়ে মূল্য প্রায় এগার হাজার মিলিয়ন ইউরোতে দাঁড়িয়েছে যা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অর্থনৈতিক কর্মকান্ডকে সচল করে রাখছে।
টিউলিপের জাত ॥ সারা বিশ্বে টিউলিপের অনেক উন্নত জাত থাকলেও মূলত টিউলিপের তিনটি শ্রেণী রয়েছ। প্রারম্ভিক ফুল আসা টিউলিপ, মাঝামাঝি ফুল আসা টিউলিপ, দেরিতে ফুল আসা টিউলিপ। ভারতে প্রাথমিক ফুলের টিউলিপের প্রধান জাতগুলো হলো; সিঙ্গেল আর্লি, ডাবল আর্লি, ডুক ভ্যান টোল এবং মিড সিজন টিউলিপ; বিজয়, মেন্ডাল।

শেষ ঋতু টিউলিপের জাতগুলি হল হাইব্রিডাইজ, লিলি ফুলযুক্ত, রেমব্রান্ট, বিজবেন্টামেন, ডাবল লেট, প্যারটস, ডারউইন এবং ডারউইন হাইব্রিড। টিউলিপা স্টেলাটা এবং টি. আইচিসোনি হিমালয় অঞ্চলে জন্মে।
টিউলিপ চাষের উপযোগী আবহাওয়া ॥ টিউলিপ সম্পূর্ণ রোদে বা আংশিক ছায়ায় জন্মানো যায়।  তবে টিউলিপের বৃদ্ধি ও গুণাগুণ অব্যহত রাখতে দিনের তাপমাত্রা প্রয়োজন ২০-২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও রাতে ৫-১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকালে সরাসরি সূর্যের আলো উপযোগী হলেও মধ্যাহ্নের সময় (১২টা থেকে ৪টা) আংশিক ছায়া প্রয়োজন।

টিউলিপ তুষারপাতের ক্ষেত্রে যেমন খুব সংবেদনশীল তেমনি গরম জলবায়ুতে টিউলিপ বাড়ানো একটু কঠিন। সেক্ষেত্রে টিউলিপ ফুল জন্মানোর জন্য গ্রিনহাউজ এবং পলিহাউজের মতো সুরক্ষিত নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ সবচেয়ে উপযোগী।

×