ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩১

মতবিনিময় সভায় যাওয়ার পথে

কুমিল্লায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ: নিহত ১

সংবাদদাতা নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা 

প্রকাশিত: ১৯:৩৬, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ২০:১৮, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

কুমিল্লায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ: নিহত ১

ছবিঃ সংগৃহীত।

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বিএনপির মতবিনিময় সভায় যাওয়ার পথে হেসাখাল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সেলিম জাহাঙ্গীর (৪৫) এর উপর অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় হামলায় তার সঙ্গে থাকা আরো ২ জন নেতাকর্মী গুরুত্বর আহত হয়। গতকাল শনিবার উপজেলার বাঙ্গড্ডা পশ্চিমবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা নিহত ও গুরুত্বর আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। 
 
আহতরা হলেন, উপজেলার পরকরা গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে জেলা যুবদলের সদস্য আবুল কালাম (৪৬) ও কাশিপুর গ্রামের মৃত মকবুল আহম্মদের ছেলে বিএনপি নেতা আলী হোসেন (৫৫)। 

জানা যায়, সাবেক এমপির নেতাকর্মীরা উপজেলার বাসন্ডা গ্রামে ব্যবসায়ী নুরুন নবীর বাড়ী থেকে দাওয়াত খেয়ে পেরিয়া ইউনিয়নের কাকৈরতলা বাজারে বিএনপির মতবিনিময় সভায় যাওয়ার পথে বাঙ্গড্ডা বাজার এলাকায় পৌছলে সেলিম জাহাঙ্গীরের মোটরসাইকেল গতিরোধ করে অতর্কিত হামলা করে। এতে একপর্যায়ে দেশী অস্ত্র-শস্ত্র দিয়ে জাহাঙ্গীরকে হত্যা করা হয়। বাকীদেরকে গুরতর আহত করে ফেলে চলে যায়। 
  
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সদস্য আবু সায়েম শিপু বলেন, আমাদের পুর্ব নির্ধারিত পেরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির কাকৈরতলা বাজারে মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে সাবেক এমপি আবদুল গফুর ভূঁইয়া উপস্থিত থাকার কথা। মতবিনিময় সভায় নেতাকর্মীরা যাতে উপস্থিত না হয় পুর্বে থেকে উৎপেতে থাকা মোবাশেরের নির্দেশে কাদবা গ্রামের কামাল হোসেন মজুমদার, বাঙ্গড্ডা গ্রামের মোবারক হোসেন, বালিয়াপুর গ্রামের মো: লিটনের নের্তৃত্বে আমাদের নেতকর্মীদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এতে একজন নিহত ও ২ জন গুরুত্বর আহত হন। খবর পেয়ে সাবেক এমপি আব্দুল গফুর ভূঁইয়া হাসপাতালে ছুটে যান। এতে নেতকর্মীদের কান্না রোল পড়ে। 
 
অভিযুক্ত মোবাশে^র আলম ভূঁইয়া বলেন, এঘটনা আমি কিছুই জানি না। এ মাত্র আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে শুনেছি। খবর নিয়ে আপনাদের সাথে কথা বলবো। এছাড়াও অপর অভিযুক্ত কামাল, লিটন ও মোবারকের মুঠো একাধিকবার ফোন করেও তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। 

এ বিষয়ে বিএনপির সাবেক এমপি আব্দুল গফুর ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, এঘটনায় আমি মর্মাহত। আমাদের নেতাকর্মীরা দাওয়াত খেয়ে ইউনিয়ন বিএনপির প্রেগ্রামে যোগদানকালে মোবাশে^র আলম ভূঁইয়ার পেটুয়া বাহিনী আমার নেতা-কর্মীদের উপর অতর্কিত হামলা করে একজনকে ঘটনাস্থলে মেরে ফেলে। আমি হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছি। 

থানার ওসি একে ফজলুল হক বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যাই। পরে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি। 

Faruk

×