চাঁদপুর পৌর এলাকার অধিকাংশ সড়ক সংস্কারের জন্য কাজ শুরু হয় দুই বছর আগে। কিন্তু যথা সময়ে মেরামত কাজ সম্পন্ন না করায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন শহরের বাসিন্দারা। বিশেষ করে মৌসুমের এই সময়টাতে ধুলাবালিতে ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুণ। ফলে ব্যবসায়ী, পথচারী ও সড়কের পাশের বাসিন্দারা খুবই দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন পৌর কর্তৃপক্ষ সকল প্রকার আদায় করলেও তাদের সেবার মান একেবারে তলানিতে। ৫ আগস্টের পর মেয়র জুয়েল পালিয়ে যাওয়ায় জবাবদিহিতাও নেই। পৌর প্রশাসক বলছেন সড়ক মেরামত কাজ শুরু হয়েছে, এমন সমস্যা থাকবে না।
পৌর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শহরের আব্দুল করিম পাটওয়ারী সড়ক, নিউ ট্রাক রোড, জেএম সেনগুপ্ত রোড, কুমিল্লা রোড, পুরান বাজার মূল সড়কগুলোর পাশের ড্রেনেজ সংস্কারসহ সড়কগুলো মেরামতের জন্য গেল দুই বছর পূর্বে উদ্যোগ নেওয়া হয়। সড়ক প্রশস্তকরণসহ উচ্ছেদ অভিযান করা শেষ হলেও সড়ক মেরামত কাজ থমকে থাকে। এসব কাজ করতে গিয়ে পার হয় ২০২৩ ও ২০২৪ সাল। গেল ৫ আগস্টের পর অনেকটা বন্ধ থাকে এসব উন্নয়ন কাজ।
শহরের পুরান বাজার দোকানঘর সড়কটির অবস্থা খুবই নাজুক। এই এলাকার বাসিন্দা নাছির উদ্দিন বলেন, প্রতিদিন হাইমচর উপজেলা থেকে শত শত যানবাহন চলে। সড়কটি কাজ শুরু করে বন্ধ রাখায় ধুলাবালিতে অবস্থা খুবই নাজুক। দিন ও রাতে মালবাহী অধিকাংশ যানবাহন চলে শহরের ট্রাক রোডে। এই সড়কের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান খান লিটন বলেন, দোকান খুলে বসা যায় না। ধুলাবালিতে মালপত্রে এসে পড়ে। দোকানের সামনের অংশে গ্লাস দিয়ে বন্ধ রেখেও বসা যায় না। বাসবাড়িতেও একই অবস্থা। এই এলাকার বাড়িতে ভাড়াটিয়া থাকতে চায় না। চা দোকানি মাছুম বলেন, প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ বার দোকান পরিষ্কার করতে হয়।
শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কেরও অবস্থাও খুবই নাজুক। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন জেলা সদরে ফরিদগঞ্জ উপজেলার লোকজন প্রবেশ করে এবং বাহির হয়। বিশেষ করে লঞ্চের যাত্রীদের যাতায়াত হয়।
এই এলাকার ইজি বাইক চালক জাহাঙ্গীর বলেন, সড়কটি গত বর্ষা মৌসুম থেকে চলাচলের অনপুযোগী। মেরামতের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ নেই। ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন যানবাহন চলাচল করে। চাঁদপুর পৌর প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক গোলাম জাকারিয়া বলেন, শহরের সড়কগুলোর অবস্থান তিনি অবগত। সংস্কার কাজ চলমান। ইতোমধ্যে আবদুল করিম পাটওয়ারী সড়কের কার্পেটিং কাজ শুরু হয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পুরো শহরের সড়কগুলো পর্যায়ক্রমে কার্পেটিং কাজ করা হবে। তখন আর এই ধরনের সমস্যা থাকবে না।
