
মানিকগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল
মানিকগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের কেনাকাটায় দুর্নীতির তদন্তে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদকের একটি বিশেষ টিম। বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক ওয়াহিদ মনজুর সোহাগের নেতৃত্বে আরও দুই কর্মকর্তা আড়াই ঘণ্টাব্যাপী হাসপাতালের আউটডোর, ইনডোর, কিচেন, স্টোরসহ বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন। এ সময় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন দুদক কর্মকর্তারা।
অভিযান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ওয়াহিদ মন্জুর সোহাগ। তিনি বলেন, এই মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পর থেকে রোগীদের খাবার, চিকিৎসার পরিবেশ, ওষুধসহ নানা ধরনের কেনাকাটায় দুর্নীতি হয়েছে বলে আমাদের কাছে অভিযোগ ছিল। এরই প্রেক্ষিতে কমিশনের নির্দেশ মতো আমরা এই অভিযানে এসেছি।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে আরও অভিযোগ রয়েছেÑ এই হাসপাতালে রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত কম্বল কম দামে কিনে বেশি দাম দেখানো হয়েছে। আমরা এখানে যেসব কম্বল দেখেছি তা কোনোভাবেই ২ হাজার ৪শ টাকার কম্বল হতে পারে না।
আমাদের কাছে মনে হয়েছে এক্ষেত্রে বড় ধরনের দুর্নীতি হয়েছে। এ ছাড়া, হাসপাতালের রান্নাঘরে গিয়ে দেখেছি রোগীদের জন্য ২২০ গ্রাম মাছের টুকরা বরাদ্দ থাকলেও আমরা ১৫৫ গ্রাম পেয়েছি। পাশাপাশি রোগীদের সঠিকভাবে খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে না বলে রোগীদের অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. সৌমেন চৌধুরী জানান, দুদকের অভিযান একটি ভালো উদ্যোগ। যদি হাসপাতালে কারও কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকে, তাহলে সেটা ওভারকাম করব। আমরা চেষ্টা করছি, সরকারি নিয়মে সব কাজ করতে। তারপরও যদি কোনো ভুল হয়ে থাকে, তাহলে সেটা ওভারকাম করতে পারব।
এ ছাড়া দুদক ২০২১-২২ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের টেন্ডারের যাবতীয় কাগজপত্র আগামী সোমবারের মধ্যে দিতে বলেছেন এবং যারা কেনাকাটা ও টেন্ডারের সঙ্গে জড়িত তাদের ঠিকানা দিতে বলেছেন। আশা করি সোমবারের মধ্যে তাদের তথ্য দিতে পারব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক আরিফ আহমেদ এবং উপসহকারী পরিচালক উজ্জল কুমার রায় এবং হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. সৌমেন চৌধুরী।