ছবি: সংগৃহীত
কয়েকদিন আগেই অভিনেতা ও ডা. এজাজ একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দেন সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। এ সময় ডা. এজাজ রোগীদের থেকে ফি কম-বেশি নেয়া নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করেন। এরপরেই ডা. মো: মাকসুদ উল্যাহ, (কিডনীরোগ ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ) ডা. এজাজকে নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। যেখানে ডা. এজাজ সম্পর্কে বেশ কিছু মন্তব্য করেন তিনি।
ডা. মাকসুদ উল্যাহ বলেন, ডা. এজাজুল ইসলাম একজন নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। তার অন্যতম কাজ হলো আল্ট্রাসাউন্ড করা। নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিশেষজ্ঞ হিসেবে তিনি একটি আল্ট্রাসাউন্ড করে ১৫০০-২০০০ টাকা নেন। যেখানে রেডিওলজী বিশেষজ্ঞ অনেক প্রফেসর মাত্র হাজার-বারোশ টাকা নেন।
অথচ তিনি গণমানুষের কাছে এটা গোপন করে গণমানুষের সামনে নিজেকে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ হিসেবে উপস্থাপন করে বলতেছেন, তিনি মাত্র তিনশত টাকা ফি রাখতেছেন! এভাবে তিনি গণমানুষের সাথে মোট তিনটি বা ততোধিক প্রতারণা করেছেন।
নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিশেষজ্ঞ প্রকৃতপক্ষে কোনো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ নন। নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগে কোনো রোগী ভর্তি হয় না। এমতাবস্থায় তিনি যদি জিপি করেন, তাহলে বর্তমান বাজারে তিনশত টাকা ভিজিট ফি তার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু তিনি পরোক্ষভাবে মানুষকে বোঝাচ্ছেন, তিনি একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। সেহেতু তিনি ১৫০০ টাকা না নিয়ে মাত্র(!) তিনশত টাকা নিচ্ছেন। কত বড় মানবদরদী তিনি!
সেই সাথে তার লাখ চিকিৎসক সহকর্মীকে তিনি সুকৌশলে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন। মিডিয়াকে সুকৌশলে ব্যবহার করে মানুষের প্রবৃত্তিকে ব্যবহার করে নিজেকে সাধু হিসেবে তুলে ধরেছেন।
অত্যন্ত দক্ষ খেলোয়াড় তিনি। মিডিয়াকে সুকৌশলে ব্যবহার করে তিনি মানুষের প্রবৃত্তিকে ব্যবহার করে একদিকে তিনি প্রতারণা করে সাধু সাজতেছেন, অন্যদিকে মানুষের প্রবৃত্তিকে লাখ সহকর্মীর বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছেন। এক ঢিলে কয়েক পাখি মেরেছেন তিনি! সাব্বাস!!
কোনো প্রতারক যখন গণমানুষকে প্রতারিত করে, তখন তার ব্যাপারে গীবত করে গণমানুষকে উদ্ধার করা সচেতন মুমিন মুসলিমের ওপর ওয়াজিব।
আল্লাহর দরবারে অসংখ্য শুকরিয়া। কেননা তিনি আমাকে এই প্রতারণার প্রতিবাদ করার তাওফিক দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ। ছুম্মা আলহামদুলিল্লাহ।
রিফাত