ছবিঃ সংগৃহীত
ফরিদপুরের সদরপুরে পুলিশের হাতে আটক হওয়া আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি নিক্সনের সহযোগী এক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নেওয়ার পর তাকে এখন পর্যন্ত আটক করা যাযনি বলে অভিযোগ পাওযা গেছে।
গত বুধবার রাতে সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছিনয়ে নেওয়ার এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশের কাছ থেকে যে ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় তার নাম ফারুক হোসেন বাকু (৪০)। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাড়ে সাতরশি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ফরিদপুর- ৪ আসনের সাবেক এমপি নিক্সন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ সহযোগি ছিল।
সদরপুর পুলিশ সুত্রে জানা যায়, ফারুক হোসেন আটরশির মোড় এলাকায় নূরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের কয়েকজন সন্ত্রাসীকে নিয়ে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছিলেন। এ খবর পেয়ে বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এসআই কাজী রাসেল ফারুক হোসেন তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। ওই সময় ফারুক হোসেন অসুস্থ হয়ে পড়ার ভান করলে ফারুককে হাসপাতালে নেওয়া হয় চিকিৎসার জন্য।
রাত ৮টার দিকে এসআই হাদিউজ্জামান দুই কনস্টেবল নিয়ে ফারুককে সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ওই সময় ২৫/৩০ জনের একটি দল ফারুককে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে একটি প্রাইভেট গাড়িতে করে সটকে পড়ে।
সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত চিকিৎসক মাইদুল হাসান বলেন, ফারুক মানসিক ভাবে বিপযস্ত ছিলেন। তাকে ঘুম পড়িয়ে রাখার জন্য ইনজেকশন দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হলে তিনি তা নিতে অস্বীকার করেন। নিজে অন্য কোথায় চিকিৎসা নেওয়ার কথা বলে চলে যাওয়ার উদ্যোগ নেন।
এসআই হাদিউজ্জামান বলেন, ওই সময় ২৫/৩০ জনের একটি দল ফারুককে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে একটি প্রাইভেট কারে উঠিয়ে অজ্ঞাত স্থানের দিকে চলে যায়। তিনি বলেন, ২৫/৩০ জন লোক এ ঘটনা ঘটায়, তাদের বাধা দেওয়ার সামর্থ তিন সদস্যের ওই পুলিশ দলের ছিল না।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোতালেব হোসেন বলেন, ফারুককে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টা পর্যন্ত তাকে আটক করা যাযনি। এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
জাফরান
