ছবিঃ সংগৃহীত
ফরিদপুরের সদর উপজেলার ধুলদি বাজার শিবরামপুর বাজার ভায়া ঈশান গোপালপুর সিসি ২১৫০ মিটার টেন্ডার আইডি ১০২৭৫২৮ এবং ইঞ্জিনিয়ার মামুন ইউ এন আর হেড অফিস হতে বুনিয়াদী স্কুল ভায়া রোডের ১৪৭৮ মিটার টেন্ডার আইডি ১০২৫৮৫৬ রাস্তার কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) অর্থায়নের রাস্তা। নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নিলন এন্টারপ্রাইজের অনুকূলে কাজ নেওয়া সাব-কন্টাক্টর মোঃ মাহাবুব ও অপর কাজটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স জি স্টার অনুকূলে নেওয়া সাব কন্টাকটার মোঃ মানোয়ার হোসেন। তিনি আওয়ামী লীগের কোমরপুর ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক।এ কাজে অত্যন্ত নিম্নমানের নাম্বারবিহীন ইট, খোয়া ও বালু ব্যবহার করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা বলেন, এই রাস্তার কাজ তদারকিতে ফরিদপুর সদর উপজেলার এলজিডির কর্মকর্তাদের গাফিলতি আছে বলে অভিযোগ করেন। আরো বলেন প্রকৃত ঠিকাদারের কাছ থেকে কাজ কিনে নিয়ে তারা বাস্তবায়ন করছে।
এলজিইডির ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে প্রকল্পে কার্পেটিং কাজের অনুকূলে প্রথমটিতে ৬৫ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা বরাদ্দ ও দ্বিতীয়টিতে এক কোটি পাঁচ লক্ষ টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয়।
এ প্রকল্পের নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে রাস্তার দুই পাশের কাটা মাটির মিশ্রিত বালি দিয়ে বক্স না করেই নিম্নমানের ইট খোয়াসহ নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করছে রাস্তায়। এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির অনিয়মের অভিযোগের পর কাজ বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হলেও এখনও অনিয়মের মাধ্যমে কাজ সমাপ্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন উক্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান দুটি ।
এলজিইডির ফরিদপুর সদর উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মফিজুর রহমান বলেন, উন্নয়ন কাজের চুক্তি মোতাবেক কাজ হচ্ছে কাজে কোন অনিয়ম নেই । কিন্তু তিনি সাক্ষাৎকার দিতে রাজি হয়নি।
ফরিদপুর সদর উপজেলা প্রকৌশলী দেবাশীষ বাগচী বলেন, সড়কে কাজে অনিয়ম হচ্ছে এমন কোনো অভিযোগ এলাকাবাসী আমাকে জানায়নি। তবে যে সকল জায়গায় কাজ হচ্ছে কাজগুলো ভালো হচ্ছে কিছু কিছু জায়গায় ব্ল্যাক টপ উঠানো হয় নাই তাতে সমস্যা নেই ওর উপর দিয়ে কাজ করলে আরও রাস্তার কাজ ভালো হবে, তাতে রাস্তায় কোন সমস্যা হবে না।
অভিযুক্ত সাব কন্টাকটার মোঃ মাহবুব ও মোঃ মানোয়ার হোসেন বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।
আসিফ