সরকারি বালিকা বিদ্যালয় ছুটির পর ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের সড়ক পারাপার
ট্রাফিক সিগন্যাল বা ফুটওভার ব্রিজের অভাবে যশোরে ঝুঁকি নিয়েই সড়কের একপাশ থেকে অন্যপাশে চলাচল করতে হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন ও উচ্চ বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই প্রধান প্রধান সড়কের পাশে থাকায় শিক্ষার্থীরা সবসময়ে চরম ঝুঁকির মধ্যে চলাচল করছে। প্রতিনিয়ত শহরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে পড়ছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ তাদের অভিভাবকবৃন্দ।
তবে অভিভাবকরা বলছেন, যশোর শহরের সড়কগুলো আগের থেকে প্রশস্তসহ ফুটপাত তৈরি হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। তা ছাড়াও ফুটপাত দখল করে আছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। এ ছাড়া সড়কে নেই গতিরোধক ব্যবস্থা। ফলে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চলাচল করে। প্রতিনিয়ত স্কুলগামী বাচ্চারা ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে।
দুদু বক্স নামে একজন অভিভাবক জানান, তার ছেলে যশোর জিলা স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। বাচ্চাকে স্কুলে আনা-নেওয়ার জন্য প্রতিদিন আসা লাগে। স্কুলের গেটের সামনে নেই ট্রাফিক সিগন্যাল। তা ছাড়া দ্রুতগতির মোটরসাইকেল, ইজিবাইক ও রিক্সার কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনাও ঘটে যায়। ট্রাফিক সিগন্যাল ও ট্রাফিক কর্মীরা থাকলে বাচ্চারা নিরাপদে রাস্তা পারাপার করতে পারত।
সুন্দরী বিবি জানান, তার বাচ্চা নবকিশলয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। ব্যস্ততম রাস্তার পাশেই স্কুলটি অবস্থিত। দুর্ঘটনা এড়াতে জরুরিভিত্তিতে এই স্কুলে ট্রাফিক সিগন্যাল স্থাপন করা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে যশোর জিলা স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক জামাল উদ্দিন বলেন, জিলা স্কুলের সামনে ট্রাফিক সিগন্যাল তো দূরের কথা কোনোপ্রকার স্পিডব্রেকারও নেই। সেজন্য প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। সাংকেতিক চিহ্ন ও ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবহার করে দুর্ঘটনা কমানো যেতে পারে। যশোর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, বাচ্চাদের নিরাপত্তার জন্য জেব্রা ক্রসিংয়ের প্রয়োজন রয়েছে।
জেব্রা ক্রসিংয়ের মাধ্যমে বাচ্চারা নিরাপদে রাস্তা পারাপার করতে পারবে। যশোর জেলা শিক্ষা অফিসার মাহফুজ হোসেন বলেন, বাচ্চাদের নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ট্রাফিক সিগন্যাল ও ট্রাফিককর্মী রাখা অত্যন্ত জরুরি। যশোর জেলা অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট কমলেশ মজুমদার বলেন, আগামীতে মাসিক আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে বিষয়টি উপস্থাপন করব।