জুলাইয়ে ছাত্র–জনতার আন্দোলনে রাজধানীর রামপুরায় একটি নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের জানালায় ঝুলে থাকা এক তরুণকে গুলি করার ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আটক হয়েছেন। আলোচিত এই ঘটনায় পুলিশের এসআই চঞ্চল চন্দ্র সরকারকে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলা থেকে আজ রবিবার রাতে আটক করা হয়েছে। দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তানভীর হাসান জোহার নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে আজ রাতে চঞ্চল সরকারকে আটক করা হয়। এ সময় ঢাকা থেকে আসা পুলিশের একটি বিশেষ ইউনিট তাঁদের সঙ্গে ছিল।
ওসি আরও বলেন, গ্রেপ্তারের পর পুলিশি পাহারায় চঞ্চলকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন ১৯ জুলাই পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে একটি নির্মাণাধীন ভবনে ঝুলে থাকা তরুণকে লক্ষ্য করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের গুলি করার ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। সে সময় ধারণা করা হয়েছিল, তরুণটি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
তবে পরে জানা যায়, তিনি বেঁচে আছেন। তাঁর নাম আমির হোসেন (১৮)। বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে। ছয়–সাত বছর আগে মাকে হারিয়ে তাঁরা তিন ভাই-বোন ঢাকায় চলে আসেন। বাবা বিল্লাল মিয়া গ্রামে অটোরিকশা চালান। নয়াপাড়ায় একটি টিনশেড বাসায় তিন ভাই–বোন থাকেন।
নির্মাণাধীন ওই ভবনটি রামপুরার মেরাদিয়ার অবস্থিত। গত ১৯ জুলাই সেখানে গুলিবিদ্ধ হন আমির। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, একজন শিক্ষার্থী ও দুজন চিকিৎসক তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তিন দিন চিকিৎসা নিয়ে তিনি বাসায় ফেরেন। আমিরের দুই পায়ে মোট ছয়টি গুলি করেছে পুলিশ। গুলিগুলো এক পাশ দিয়ে ঢুকে অন্য পাশ দিয়ে বেরিয়ে গেছে। তিনি প্রায় পঙ্গু হয়ে গেছেন।
শহীদ