ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫ মাঘ ১৪৩১

জামালপুরে টিসিবির ৮০ বস্তা চাল, ডাল জব্দ

নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর ও মাদারগঞ্জ সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ২১:১২, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫

জামালপুরে টিসিবির ৮০ বস্তা চাল, ডাল জব্দ

জব্দ করা টিসিবির চাল-ডাল মাদারগঞ্জ থানা হেফাজতে রাঝা হয়েছে

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় টিসিবির ৮০ বস্তা চাল-ডাল উদ্ধার করেছে মাদারগঞ্জ থানা পুলিশ। শনিবার রাতে উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের তেঘরিয়া গ্রাম থেকে এ চাল-ডাল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। আটকরা হলেনÑ চরবওলা এলাকার রমজান আলী (৫২), তেঘরিয়া উত্তরপাড়া এলাকার জেসমিন (৪০) ও জেসমিনের  মেয়ে ফারজানা (২০)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের তেঘরিয়া বাজারের পাশে হুমায়ুন আলীর বাড়িতে টিসিবির পণ্য চাল ও ডাল অবৈধভাবে মজুত ও টিসিবির বস্তা পরিবর্তন করতে ছিল স্থানীয় অসাধু ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক ব্যাপারী। মালেক ব্যাপারী ওই ইউনিয়নের ফাজিলপুর গ্রামের মৃত শাহ্ আলীর ছেলে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় মাদারগঞ্জ থানা পুলিশ বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং তিন চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে শনিবার রাতে মামলা দায়ের করেছে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, হুমায়ুনের বাড়ি ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এমন অসাধু ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন মালেক ব্যাপারী। পরে স্থানীয়দের সংবাদের মাধ্যমে হুমায়ুনেরও বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে চাল ও ডালের বস্তা পরিবর্তনের সময় তাদেরকে হাতেনাতে আটক করা হয়। মাদারগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতোয়ার রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিক্তিতে চরপাকেরদহ ইউনিয়নের তেঘরিয়া বাজারের পাশে হুমায়ুন আলীর বাড়িতে টিসিবির পণ্য চাল ও ডাল অবৈধভাবে মজুত ও টিসিবির বস্তা পরিবর্তন করা হচ্ছে এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৮০ বস্তা চাল ও ডাল জব্দ করা হয়। এর মধ্যে ৫৯ বস্তায় ২ হাজার ৯৫০ কেজি চাল ও ২১ বস্তায় ৯০০ কেজি ডাল এবং বিসিবির ৬৪টি খালি বস্তা উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করা হয়। ঘটনার পর থেকে মালেক ব্যাপারী পলাতক রয়েছেন। তবে আটক ব্যক্তিরা চাল-ডাল কিসের সে বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না এবং তারা দিনমজুর হিসেবে কাজ করছিলেন।
এ বিষয়ে মাদারগঞ্জ মডেল থানার ওসি হাসান আল মামুন জনকণ্ঠকে বলেন, টিসিবির চাল ও ডাল উদ্ধার বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে। তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এজাহারভুক্ত একজন পলাতক আছেন।
আদমদীঘিতে ভর্তুকির সার পাচারের সময় জব্দ

নিজস্ব সংবাদদাতা, আদমদীঘি, বগুড়া থেকে জানান, উপজেলার সান্তাহার পৌরসভার ডিলার কর্তৃক সরকারি ভর্তুকি মূল্যের ৭৫ বস্তা ডিএপি সার বেশি মূল্যে অন্যত্র পাচার করার সময় অভিযান চালিয়ে আটক করে জব্দ করেছেন উপজেলা কৃষি অফিসার। জানা গেছে, সান্তাহার পৌরসভা এলাকার জন্য কৃষি কার্যালয়ের এসাইন্ডকৃত বিসিআইসি ডিলার মেসার্স মির্জামল বিশে^শ^র লাল।
এই ডিলারী প্রতিষ্ঠানের মালিক সন্তোষ আগরওয়াল। তিনি সান্তাহার পৌরসভা এলাকার কৃষক ও সাব-ডিলারদের নিকট দীর্ঘদিন ধরে সরকার নির্ধারিত মূল্যের ভর্তুকির সার বিক্রি না করে চোরাইপথে বেশি মূল্যে অন্য এলাকায় পাচার করে আসছেন বলে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে রবিবার দুপুরে কৃষি অফিসার কর্তৃক সার আটক ও জব্দ করার মাধ্যমে। এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কৃষি অফিসার দিপ্তী রানী রায় জনকণ্ঠকে বলেন, আগামীতে কৃষি অফিসারের অনুমতি ছাড়া অন্য এলাকায় সার বিক্রি (পাচার) করবেন না মর্মে মুচলেকা প্রদান করায় আইনগত অন্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
কুমিল্লায় প্রণোদনার সার বীজ  আত্মসাতের অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা থেকে জানান, কুমিল্লায় সরকারের বরাদ্দকৃত প্রান্তিক কৃষকের জন্য প্রণোদনার সার, বীজ ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে আবুল কালাম নামে এক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত আবুল কালাম জেলার দাউদকান্দি উপজেলায় কর্মরত আছেন। এ ঘটনার তদন্তে দাউদকান্দি উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জানা গেছে, খরা, বন্যা, পাহাড়ি ঢল ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত জেলার ক্ষুদ্র প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে সার, বীজ ও নগদ অর্থ বিতরণের জন্য সরকার এবার জেলার ১৭টি উপজেলায় প্রায় ২৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। মাঠ পর্যায়ে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের তৈরি করা তালিকা এবং মাস্টাররোলের ভিত্তিতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে এই বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন।
দাউদকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিগার সুলতানা বলেন, অভিযোগের বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাজহার আলম, উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা খোরশেদ আলম ও প্রধান সহকারী নাজমুন নাহারের সমন্বয়ে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তির আওতায় আনা হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপ-পরিচালক আইউব মাহমুদ জানান, বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। উপজেলা থেকে এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমার অফিস থেকেও এ বিষয়ে আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এদিকে সূত্রগুলো জানায়, জেলার অন্য উপজেলায়ও এ বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত করলে আরও অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য সহজে বেরিয়ে আসবে।

×