ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১

অনুসন্ধানে একাধিক গোয়েন্দা টিম

খুবি শিক্ষার্থী অর্ণব হত্যাকা- তিনজনকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস

প্রকাশিত: ০১:১৩, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫

খুবি শিক্ষার্থী অর্ণব হত্যাকা- তিনজনকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অর্ণব হত্যায় বাকরুদ্ধ মা। ইনসেটে নিহত অর্নব সরকার

খুলনার বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ব্যবসা প্রশাসনের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী অর্ণব কুমার সরকারের (২৫) মরদেহের শনিবার দুপুরে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে নগরীর গল্লামারী শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। তবে, হত্যার বিষয়টি এখনো রহস্যে ঘেরা। হত্যার কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছে একাধিক গোয়েন্দা টিম। অর্ণবের বাবা নিতিশ চন্দ্র সরকার সন্তান হত্যার সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার হত্যাকা-ের বিষয়ে তথ্য উদ্ঘাটনে তিনজনকে সোনাডাঙ্গা থানায় নেওয়া হয়। তবে, তাদেরকে আটক বা গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। হত্যার ব্যাপারে তথ্য পাওয়ার জন্য তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ছাড়া, ঘটনাস্থলসহ নগরীর সম্ভাব্য অনেক এলাকায় শনিবার একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার টিম হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা করে বলে সরেজমিনে দেখা যায়।

পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, পিবিআই ও র‌্যাবের গোয়েন্দারাও মাঠে রয়েছেন খুবি ছাত্র অর্নব হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে। প্রাথমিকভাবে দুইটি কারণকে মাথায় নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে বলে গোয়েন্দা সংস্থার একজন সদস্য জানান। তবে, সে কারণ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত প্রকাশ করা যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
অর্ণবের বাবা নিতিশ সরকার জানান, আমাদের কোনো শত্রু থাকতে পারে বলে আমার জানা নেই। তার ছেলে কারও সঙ্গে কোনোদিন দুর্ব্যবহার করেনি। কারও সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়নি। আচমকা এই হত্যাকা- মেনে নিতে পারছে না কেউ। ছেলে হত্যার সঠিক বিচার চাই আমি। পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে তেঁতুলতলা মোড়ে মোটরসাইকেলে বসে অর্ণব চা পান করছিলেন।

এ সময় কয়েকটি মোটরসাইকেলে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাকে ঘিরে ধরে কাছ থেকে গুলি করে। গুলি তার শরীরে বিদ্ধ হলে সড়কে লুটিয়ে পড়ে অর্ণব। এ সময় সন্ত্রাসীরা তাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও একাধিক সন্দেহভাজনকে নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সোনাডাঙ্গা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম বলেছেন, ঘটনাস্থল থেকে যে গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে তাতে বোঝা যাচ্ছে এ হত্যাকা-ে দুইটি আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। একটি শটগান অপরটি পিস্তল। অর্থাৎ, হত্যাকারীরা পেশাদার খুনি বলেও মনে হচ্ছে। তবে, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি বলে জানান তিনি।
মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) মো. মনিরুজ্জামান মিঠু জানান, হত্যাকা-ের সম্ভাব্য দিকগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।  এ ছাড়া তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। হত্যার কারণ ও হত্যার সঙ্গে কারা জড়িত তা উদ্ঘাটন করতে গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক টিম কাজ করছে।

আরো পড়ুন  

×