ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটকদের যাতায়াত ও রাত্রি যাপন উন্মুক্ত করার দাবিতে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছে সেন্টমার্টিন'স দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা-উন্নয়ন জোট। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সভায় জোটের চেয়ারম্যান শিবলুল আজম কোরেশি সভাপতিত্ব করেন।
সভায় শিবলুল আজম কোরেশি বলেন, সরকার সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের যাতায়াত ও রাত্রি যাপন সীমিত করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা আত্মঘাতী। এর ফলে স্থানীয় জনগণ, ছাত্র-ছাত্রী, পর্যটন ব্যবসায়ী, শ্রমজীবী মানুষসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। হাজার হাজার মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে, এবং দ্বীপের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রায় স্থবির হয়ে গেছে। তিনি দ্রুততম সময়ে সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের জন্য দ্বীপটি উন্মুক্ত করার দাবি জানান।
সভায় জোটের সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, সেন্টমার্টিনে প্রতিবছর অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত পর্যটকদের যাতায়াত করে। কিন্তু ২০২৪ সালে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পর্যটন সীমিত করা হয়েছে। নভেম্বর ২০২৪-এ জাহাজ চলাচলের অনুমতি না থাকায় একজন পর্যটকও সেন্টমার্টিনে যেতে পারেননি। ডিসেম্বর ২০২৪ এবং জানুয়ারি ২০২৫-এ সীমিত সংখ্যক পর্যটককে রাত্রি যাপনের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু পর্যাপ্ত ট্রাভেল পাস সংগ্রহের জটিলতায় পর্যটকদের অংশগ্রহণ কমে গেছে। ফলে পর্যটন-নির্ভর সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা চরম সংকটে পড়েছেন।
তিনি আরো বলেন, দ্বীপের মানুষ তাদের বারো মাসের জীবিকা মাত্র দুই মাসের আয়ে নির্বাহ করতে পারে না। মানবিক বিবেচনায় সেন্টমার্টিনকে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত পর্যটকদের জন্য সম্পূর্ণ উন্মুক্ত করার দাবি জানাই।
মতবিনিময় সভায় ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব), কক্সবাজার ও কুয়াকাটার ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন, সেন্টমার্টিন হোটেল মালিক সমিতি, ই-ট্যাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নেতৃবৃন্দ সভা শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং সেন্টমার্টিনের স্থানীয় জনগণের মানবিক সংকট সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
রিফাত