ছবি: জনকণ্ঠ
ওয়াকফ এস্টেট এর জমিতে করা মাছের ঘেরের বিরোধ স্থানীয় সালিশে নিষ্পত্তি সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের লোক বেল্লাল পাহলান পরিকল্পিতভাবে মিথ্য চাঁদাবাজির ঘটনা উল্লেখ করে যুবদলের ওয়ার্ড সভাপতি সোহাগ মুন্সী, সাধারণ সম্পাদক বেল্লাল আকনসহ বিএনপি সমর্থিত নেতাকর্মীদের নামে মামলা করেছে। দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের হয়রাণি করা হচ্ছে। এমনকি একজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি জাকির হাওলাদরকে গ্রেপ্তার করানো হয়েছে- এমনসব অভিযোগ এনে নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজীপুর গ্রামের বাসীন্দা আব্দুর রশিদ চাপরাশি কলাপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।
শনিবার দুপুরে এ সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে দাবি করেন, বেল্লাল পাহলান ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সদস্য, হত্যা ও মাদক মামলায় জড়িত। এখন বিএনপির লোকজনকে হয়রাণি করতে মরিয়া হয়ে লেগেছে। তিনি আরো বলেন, আক্কেলপুর কাছেম আলী হাওলাদার ওয়াকফ এস্টেট এর জমিজমা মাছের ঘের সব গত ১৫ বছর পর্যন্ত বেল্লাল পাহলান বিটার ও সাব-বিটারদের যোগসাজশে দখল করে রেখেছে। এখনও জবরদখলে রাখার জন্য পরিকল্পিতভাবে এই মিথ্যা মামলা করে। এসময় কলাপাড়া থানা পুলিশের ভূমিকায় তীব্য অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা মিথ্যা এই মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেন।
ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আবুল হোসেন সংবাদ সম্মেলনকারীদের স্বপক্ষে বক্তব্য রাখেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে স্থানীয় বিএনপি নেতা কুদ্দুস ফরাজী, মাওলানা হাবিবুর রহমান, সেলিম খান, যুবদল নেতা শামসুল হক, জহিরুল ইসলাম, আবুল কাশেম শেখ, জসিম আকন, শ্রমিক দল নেতা সোহেল আহম্মেদ খোকন, মহিউদ্দিন পাহলোয়ানসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে বেল্লাল পাহলান জানান, তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। সাত নম্বর ওয়ার্ডের মানুষ যুবদল নামধারী দুইজনের কাছে জিম্মি বলে তার পাল্টা অভিযোগ। বেল্লালের দাবি তাদের লিজ নেওয়া জমি পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে চাষ ও রোপন করেছে। রামদা নিয়ে ধাওয়া করে দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি তার ধান কাটার মেশিন বন্ধ করে কানি জমিতে এক হাজার করে বেশি টাকা নিয়ে ধান কাটতে সকল কৃষককে বাধ্য করা হয়েছে। উল্লেখ্য গত ২১ জানুয়ারি কলাপাড়া থানায় বেল্লাল আকন যুবদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের দুই নেতাসহ আট জনের নাম উল্লেখ করে বেল্লাল পাহলান এ মামলাটি করেন।
শিহাব