ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১

মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ওয়াকফ স্টেটের গাছ বিক্রয়ের অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা,বাকেরগঞ্জ,বরিশাল। 

প্রকাশিত: ১২:২০, ২৫ জানুয়ারি ২০২৫

মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ওয়াকফ স্টেটের গাছ বিক্রয়ের অভিযোগ

বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের মোহাম্মাদিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সালেহিয়া মোহাম্মাদিয়া মুসলিম গোরস্থান ওয়াকাফ স্টেটের গাছ বিক্রয়ের অভিযোগ উঠেছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়,২০১৪ সালে ২ জুলাই বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ওয়াকফ স্টেট প্রচলিত আইনের বিধান অনুসারে ইসি নং ২০৪৭ নং নথিতে মো: জহিরুল ইসলামকে মতওয়াল্লী হিসেবে সালেহিয়া মোহাম্মাদিয়া মুসলিম গোরস্থান ওয়াকফ স্টেটে নিয়োগ দেয়া হয়। এ সময় ৩.৪৪ একর সম্পত্তি ওয়াকফ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। 

পরবর্তীতে, সাত বছর পরে মতওয়াল্লী মো: জহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ওয়াকিফের পুত্র হাফিজ মোহাম্মদ বশির ওয়াকফ প্রশাসক বরাবর ওয়াকিফের উদ্দেশ্য পূরণে ব্যর্থ অভিযোগ এনে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসক ২০২১ সালে ১৯ আগস্ট ওয়াকিফের উদ্দেশ্য পূরণে ব্যর্থ দেখিয়ে মো: জহিরুল ইসলামকে বাদ দিয়ে ওয়াকফ আদেশে ১৯৬২ এর ৩২ ধারার বিধান অনুসারে ওয়াকিবের পুত্র হাফিজ মোহাম্মদ বশির কে ৬ মাসের জন্য মতওয়াল্লী হিসেবে সালেহিয়া মোহাম্মাদিয়া মুসলিম গোরস্থান ওয়াকফ স্টেটে নিয়োগ দেয়।

বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসকসহ মোতওয়াল্লী বশিরের বিরুদ্ধে জহিরুল ইসলাম বাদি হয়ে বরিশাল জেলা জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত উচ্চ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। মোতওয়াল্লী বশির ঢাকায় বসবাস করার কারণে কাওসার আলী খানকে মোতওয়াল্লীর দায়িত্ব দেন। 
 

সম্প্রতি সময়ে, মোহাম্মাদিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষর মোহাম্মদ দিদারুল্লাহ সালেহিয়া মোহাম্মাদিয়া মুসলিম গোরস্থান ওয়াকফ স্টেটের প্রায় ৩ লাখ টাকার গাছ বিক্রি করে দেন। এ বিষয়ে মাদ্রাসা অধ্যক্ষর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাদ্রাসার উন্নয়নের জন্য গাছ বিক্রয় করা হয়েছে। যাহার রেজুলেশন করা রয়েছে। আদালতে মামলা চলাকালীন অবস্থায় গাছ বিক্রয় করা যাবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন বর্তমানে গাছ কাটা বন্ধ রয়েছে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে, মো: জহিরুল ইসলাম বলেন নিয়ম বহির্ভূতভাবে মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ কয়েকজনে মিলে টাকা আত্মসাৎ করার জন্য এই গাছ বিক্রয় করেছিল। এ বিষয়ে আমি বাকেরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। এছাড়াও বরিশাল জেলা জজ আদালত সহ সুপ্রিম কোর্টেও একটি মামলা চলমান রয়েছে।

এ বিষয়ে বাকেরগঞ্জ থানার ওসি সফিকুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন থেকে উভয়পক্ষের মধ্যে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মোহাম্মদ দিদারুল্লাহ সালেহিয়া মোহাম্মাদিয়া মুসলিম গোরস্থান ওয়াকফ স্টেটের গাছ বিক্রি করলে জহিরুল ইসলাম বাকেরগঞ্জ থানা একটি অভিযোগ দায়ের করে। এছাড়াও জহিরুল ইসলাম বরিশাল কোর্টে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনে ১৪৪/১৪৫ ধারায় একটি মামলা দায়ের করলে আদালত উভয়পক্ষকে নোটিশ প্রদান করেছে 

আফরোজা

×