ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১

ঠাকুরগাঁওয়ে কাজ রেখে ঠিকাদার উধাও

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও

প্রকাশিত: ২১:১০, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫

ঠাকুরগাঁওয়ে কাজ   রেখে ঠিকাদার উধাও

.

শেষ হয়নি সেতুর কাজ, দুইপাশে রাস্তা পারাপারের জন্য বানানো হয়েছে কাঠের তৈরি মই। অধিকাংশ কাঠ ভেঙে যাওয়া আর নিচে বিশাল গর্ত থাকায় সেতুটি মরণফাঁদে রূপ নিয়েছে। বেড়েছে দুর্ঘটনা। এতে এলাকার মানুষের ভোগান্তি প্রতিনিয়ত। দ্রুত কাজ শেষ করে ভোগান্তি থেকে মুক্তি চায় গ্রামবাসী।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২৯ লাখ ২৬ হাজার টাকা ব্যয়ে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের সিংগিয়া গ্রামে কাজ শুরু হয় সেতু/কালভার্টের। গত বছরের শুরুতে কাজটির গতি থাকলেও গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে বন্ধ রয়েছে কাজ। সেতু তৈরির কাজে ব্যবহৃত মালামাল রেখে পালিয়েছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে চার গ্রামের কয়েকশ’ মানুষকে। হেঁটে রাস্তা পারাপার, যানবাহন, কৃষি জমির ফসল, বিভিন্ন পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলে ঘটছে নানা ধরনের সমস্যা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতুর এমন দুর্দশা গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে এলাকাবাসীর। শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাতায়াত, কৃষি জমির ফসল পরিবহনসহ ব্যাঘাত ঘটছে দৈনিক কাজের। দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ করে ঝুঁকিমুক্ত করার দাবি এলাকাবাসীর। পথচারী ইয়াকুব আলী বলেন, এই রাস্তা দিয়ে আমরা আশপাশের সকল মানুষ যাতায়াত করে থাকি। শহরে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটি। অথচ ব্রিজটির কারণে আমাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ইউপি সদস্য রহমত আলী বলেন, এলাকার মানুষের সঙ্গে দেখা হলে ব্রিজের বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কাজে আসেনি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাসেল পরিবহনের সঙ্গে কয়েক দফায় যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু শোয়েব খান বলেন, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত কাজটি শেষ করার মেয়াদ। তবে ভোগান্তি নিরসনে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে কাজ করা হবে।

×