ছবিঃ সংগৃহীত
সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫-কে বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে এর সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, এই অধ্যাদেশ আইনজীবী সমাজকে হতাশ করেছে। এখানে কোনো আইনজীবী প্রতিনিধি রাখা হয়নি। অথচ অধস্তন আদালতের বিচারকদের প্রতিনিধি রাখা হয়েছে। এটা বৈষম্যমূলক। আমি এই অধ্যাদেশ সংশোধনের দাবি জানাচ্ছি। ৫৪ বছর পর আইন পাশ হলেও এই আইনে আমরা হতাশ।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর গেজেট প্রকাশ করে সরকার। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগে একটি স্থায়ী কাউন্সিল গঠন করা হবে।
অধ্যাদেশের ৩ ধারায় বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দিতে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি স্থায়ী কাউন্সিল গঠন করা হবে, যার নাম হবে ‘সুপ্রিম জুডিসিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল’।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, আইনজীবীরা বিচারব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলেও এই কাউন্সিলে তাদের কোনো প্রতিনিধি রাখা হয়নি। এটি আইনজীবী সমাজের প্রতি অবিচার। আমরা এর সংশোধন চাই। তিনি আরো বলেন, এখানে আমলারা প্রভাব খাটিয়েছে।
অধ্যাদেশের মাধ্যমে বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্য নেওয়া হলেও আইনজীবী মহল থেকে এর প্রতি সমালোচনা উঠে এসেছে।
রিফাত