গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বোয়ালিয়া এলাকায় ফসলি জমিতে গড়ে ওঠা ইটভাঁটি
আইন অমান্য করে কৃষি জমিতে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে ইটভাঁটি। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা ৩৬টি ইটভাঁটির মধ্যে ৩০টিই চলছে অবৈধভাবে। এ সব ইটভাঁটির কারণে আবাদি জমির ফসল ও গাছের ফলমূল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ভাঁটিগুলোতে কয়লার পাশাপাশি জ্বালানি কাঠ পোড়ানোয় হুমকির মুখে পড়েছে এলাকার পরিবেশ ও প্রকৃতি।
এসব ইটভাঁটি স্থাপনে স্থানীয়দের অভিযোগ থাকলেও আইন অমান্য করে চলছে কার্যক্রম। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকা ও তদারকি না থাকায় প্রতিবছরই যত্রতত্র গড়ে উঠছে এসব অবৈধ নতুন নতুন ইটভাঁটি।
জানা গেছে, উপজেলায় মাত্র ৬টি ইটভাঁটির লাইসেন্স থাকলেও এই উপজেলায় ভাঁটির সংখ্যা রয়েছে ৩৬টি। উপজেলার কাটাবাড়ী, কামারদহ, নাকাই, দরবস্ত, মহিমাগঞ্জ, কোচাশহর, শিবপুর ইউনিয়নে এই ইটভাঁটিগুলোর অবস্থান। কোনো লাইসেন্স নেই। নেই পরিবেশ ছাড়পত্র। ভাঁটিগুলোতে ইট তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে আবাদি জমির উর্বর অংশের মাটি)। বিভিন্ন প্রলোভনে সামান্য অর্থের বিনিময়ে কৃষকদের কাছ থেকে এই কৃষি জমির মাটি কিনে নিচ্ছেন ভাঁটির মালিকরা।
পুনতাইড়, ফাঁসিতলাসহ বেশ কয়েকটি স্থানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশেই ইটভাঁটি গড়ে তোলায় শিক্ষার্থী ও এলাকার মানুষের সারা বছর শ্বাসকষ্টসহ নানা ধরনের অসুখে ভুগতে হয়। ইটভাঁটি মালিক সমিতির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, উপজেলার ইটভাঁটির সঠিক সংখ্যাসহ এসব বিষয়ের তেমন কোনো তথ্য তার জানা নেই।
এ বিষয়ে তিনি সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। কিন্তু মুঠোফোন বারবার চেষ্টা করেও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা ইটভাঁটি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা বলেন, অবৈধ পরিবেশ দূষণকারী সকল ইটভাঁটির ব্যাপারে পরিবেশ অধিদপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।