ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১

বগুড়ায় বোরো আবাদে ব্যস্ত কৃষক

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস

প্রকাশিত: ০২:০০, ২২ জানুয়ারি ২০২৫

বগুড়ায় বোরো আবাদে ব্যস্ত কৃষক

অনুকূল পরিবেশ পাওয়ায় বোরো চারা রোপণে ব্যস্ত কৃষক

বগুড়ায় এবার বোরো মৌসুমের জন্য বীজতলা নিয়ে কৃষকদের মধ্যে দুশ্চিন্তা কাটছে। অনুকূল আবহাওয়ায় বীজতলা নিয়ে তেমন সমস্যা না থাকায় কৃষকদের মাঝে শঙ্কা নেই বোরো আবাদ নিয়ে। ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীত বীজতলার জন্য প্রধান ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে এবার বীজতলা নিয়ে বগুড়ায় তেমন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পড়েননি কৃষকরা। 
বগুড়া কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, জেলায় এবার ১ লাখ ৮৭ হাজার ২শ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ জন্য ১০ হাজার ৩শ হেক্টর জমির বীজতলা প্রয়োজন। ইতোমধ্যে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি শেষ। আলু ও সরিষার জন্য কিছু বীজতলা কৃষকরা দেরিতে জমিতে ফেলেছেন।

তবে বোরো মৌসুমের নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বীজতলা তৈরি শেষে জমিতে বোরোর চারা রোপণ শেষ হবে বলে আশা করছেন কৃষি বিভাগ। জানুয়ারির মধ্যভাগ থেকে মার্চের মধ্যভাগ পর্যন্ত বোরো আবাদের সময়। ইতোমধ্যে জেলার ১২ উপজেলার প্রায় প্রতিটি উপজেলায় বোরো লাগানো শুরু হয়েছে।

 
নন্দীগ্রাম উপজেলার পদ্মপুকুর পাড়া গ্রামের কৃষক আবুল বাশার বাচ্চু জানালেন, তাদের বোরো স্কিমের আওতায় নিজের ২৪ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ শুরু করেছেন। এবার বীজতলা নিয়ে তাকে কোনো চিন্তা করতে হয়নি। গত বছরের তুলনায় বীজতলা ভালো হয়েছে। এবার কুয়াশা পড়লেও দিনের সূর্যে তা কেটেছে। ফলে ভালো বীজতলা তৈরি হয়েছে। শুক্রবার থেকে তিনি বীজতলা থেকে চারা নিয়ে জমিতে বোরো লাগানো শুরু করেছেন। আর দুইদিনের মধ্যেই শেষ হবে। বগুড়া কৃষি  সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মতলবুর রহমান জানান, এবার বীজতলা নিয়ে সমস্যা ছাড়াই বগুড়ায় কৃষকরা বোরো আবাদ মৌসুম শুরু করেছেন। অনেক এলাকায় আলু ও সরিষা চাষে বিলম্ব হওয়ার কারণে সেসব জমিতে ৩০ মার্চ পর্যন্ত বোরো লাগানো চলবে। বীজতলার যে লক্ষ্যমাত্রা তা পূরণ হয়ে যাবে কারণ অনেক কৃষক কিছুটা দেরিতে বীজতলা ফেলেছেন। জেলায় বোরোর বীজতলা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।

×