ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১

সিলেটে জোর করে ৮ যুগলের বিয়ের ঘটনায় তীব্র সমালোচনা

প্রকাশিত: ১০:০১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ১০:৫৩, ২১ জানুয়ারি ২০২৫

সিলেটে জোর করে ৮ যুগলের বিয়ের ঘটনায় তীব্র সমালোচনা

ছবি : সংগৃহীত

সিলেটের মোগলাবাজারে একটি রিসোর্টে ঘুরতে আসা আট তরুণ-তরুণীকে আটক করে স্থানীয় লোকজন কাজী ডেকে বিয়ে পড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে।

ঘটনাটি গত ১৯ জানুয়ারি (রবিবার) সিলেটের মোগলাবাজার থানা এলাকার রিজেন্ট পার্ক রিসোর্টে ঘটে। স্থানীয় জনগণের অভিযোগ, ওই তরুণ-তরুণীরা রিসোর্টে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত ছিল। তাদের আটক করার পর তাদের পরিবারের সদস্যদের খবর দেয়া হয় এবং কিছু তরুণ-তরুণীকে মুক্তি দেয়া হয়। তবে চারটি যুগলকে কাজী ডেকে বিয়ে পড়ানোর ঘটনা ঘটানো হয়, যা সামাজিক ও আইনগতভাবে নানা প্রশ্ন তুলেছে।

রিসোর্টের মালিকের দাবি, এটি একটি প্রতিশোধমূলক ঘটনা, যেখানে তিনি চাঁদা না দেওয়ায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনার পর রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ঘোষণা দিয়ে রিসোর্টটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে দেয়।

স্থানীয় বাসিন্দা এবং প্রত্যক্ষদর্শী ইয়াছিন আহমেদ ফাহিম জানান, ঘটনার দিন সকালে রিজেন্ট পার্ক রিসোর্টে ১০টি যুগল আসলে তাদেরকে আটক করা হয়। তাদের পরিবারের সদস্যদের খবর দেয়া হলে, যারা দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন, তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। কিন্তু পরিবারের পক্ষ থেকে দায়িত্ব না নেওয়া চারটি যুগলকে জোর করে বিয়ে দেয়া হয়।

এদিকে, সিলেট মহানগর পুলিশের মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। পরে স্থানীয় মুরব্বিরা অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যদের খবর দেয় এবং তাদের দায়িত্ব গ্রহণ করলে আমরা চলে আসি। তারা বলছেন, অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করার পর যদি আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন হয়, তবে তারা জানাবেন।’

এই ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা এবং স্থানীয়দের ক্ষমতা প্রয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, স্থানীয় জনগণের হাতে আইন প্রয়োগের ঘটনা সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে এবং এটি আইনের শাসনের প্রতি আস্থা কমিয়ে দেয়।

এ ঘটনার পর সিলেটের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং পুলিশ প্রশাসনের কার্যক্রম নিয়ে আরও প্রশ্ন উঠতে পারে, যা সামনে তদন্তের প্রয়োজনীয়তা নিশ্চিত করে।

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=4WVtRpu0-1c

নুসরাত

×