ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১

সাফল্য ধরে রেখেছে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ

এক কলেজ থেকেই মেডিকেলে চান্স পেলো ৫৩ শিক্ষার্থী

অনলাইন রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০৭:১২, ২১ জানুয়ারি ২০২৫

এক কলেজ থেকেই মেডিকেলে চান্স পেলো ৫৩ শিক্ষার্থী

সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ

আগের রেকর্ড ভেঙে এ বছর দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের ৫৩ শিক্ষার্থী।

কয়েক বছর ধরেই মেডিকেল, প্রকৌশল, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিভার স্বাক্ষর রাখছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। এবারও সাফল্যের সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি।

কলেজের উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আতাউর রহমান জানান, ২০২৪ সালে ৫৩ জন, ২০২৩ সালে ৩৬ জন, ২০২২ সালে ৪৫ জন, ২০২১ সালে ৪০ জন, ২০২০ সালে ৩৮ জন, ২০১৯ সালে ৩৬ জন, ২০১৮ সালে ৩৯ জন শিক্ষার্থী দেশের সরকারি বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।

এ ছাড়া উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থী বুয়েট, চুয়েট, রুয়েট ছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। এবারে ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বের হলে এ সংখ্যা আরো বাড়বে বলে মনে করেন অধ্যাপক আতাউর।

দেশের সব সরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে রবিবার। জাতীয় মেধায় তালিকায় ১৯৯তম স্থান করে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীর সুমাইয়া শারমিন।

তার বাড়ি সৈয়দপুর উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের লক্ষণপুর বালাপাড়া গ্রামে। বাবা মো. শফিয়ার হোসেন সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট। তিন বোনের মধ্যে সুমাইয়া সবার বড়। ভর্তি পরীক্ষায় তার স্কোর ১৮৫। ২০২২ সালে সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এইচএসসিতে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজে ভর্তি হন তিনি।

প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সুমাইয়া শারমিন বলেন, “শিক্ষার পরিবেশ, শিক্ষকদের আন্তরিকতা ও নিবিড় পরিচর্যাসহ কলেজে নিয়মিত ক্লাস ও প্রতিটি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ায় মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে এমন সাফল্য অর্জিত হয়েছে।” চিকিৎসক হয়ে তিনি মানবসেবা করতে চান বলে জানান শারমিন।

কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, চলতি বছর ২৬২ শিক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাশ করে। যার মধ্যে জিপিএ-৫ পান ২৫৫ জন শিক্ষার্থী। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ, পাঠদানের ধরন ও শিক্ষকদের আন্তরিকতা এবং শিক্ষার্থীদের একাগ্রতা ও অভিভাবকদের সচেতনতা সফলতার এই পথকে সুগম করেছে।

প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, “আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুশৃঙ্খল শিক্ষার পরিবেশ, পাঠদানে শিক্ষকদের আন্তরিকতা এবং কঠোর তদারকির কারণে প্রতি বছর আশানুরূপ ফলাফল বয়ে আনছে শিক্ষার্থীরা। কলেজে কঠোর নিয়মকানুনের কারণে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাস আসে। এতে করে সার্বক্ষণিক লেখাপড়া ও শিক্ষকদের সংস্পর্শে থাকে।

“আর কলেজে বছরের নির্ধারিত পরীক্ষার পাশাপাশি ক্লাস টেস্ট, মডেল টেস্টসহ আরো অনেকগুলো পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। ফলে পরীক্ষার ভীতি অনেকাংশে দূর হওয়াসহ প্রস্তুতি ভাল হয়।”

১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় কলেজটি। সে সময়ে প্রতিষ্ঠানটির নাম ছিল সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি বিজ্ঞান স্কুল। ১৯৭৭ সালে সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি কলেজ নামকরণ করা হয়। এরপর ২০১৯ সালে আবার পরিবর্তন করে নাম রাখা হয় সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ।

শহীদ

×