ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১

ফেল করা শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, অধ্যক্ষের কক্ষে তালা

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী

প্রকাশিত: ২১:১৬, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫

ফেল করা শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, অধ্যক্ষের কক্ষে তালা

পরীক্ষায় ফেল করে রাজশাহী নার্সিং কলেজের ১৪ শিক্ষার্থী অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি করেছে। শুধু অপসরণই নয়, কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে তালা দিয়ে তারা বিক্ষোভ করেছেন। রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী নার্সিং কলেজের মধ্যে ফেল করা এ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে। একই সময় ক্লাস চালু রাখা, কলেজের মধ্যে বিক্ষোভ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীরা পাল্টা বিক্ষোভ করেছে।
দু’পক্ষের বিক্ষোভে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এক পর্যায়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ও রাজপাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গেছে, রাজশাহী মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) অধিভুক্ত নার্সিং কলেজের তৃতীয় বর্ষের বিএসসি ইন নার্সিং চূড়ান্ত পরীক্ষা গত বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হয়। গত ১৫ জানুয়ারি এ পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু এ পরীক্ষায় রাজশাহী নার্সিং কলেজ থেকে ১৪ শিক্ষার্থী কমিউনিটি হেলথ বিষয়ে ফেল করে। ফেল করার বিষয়টি ১৪ জন শিক্ষার্থী জানতে পেরে ১৬ জানুয়ারি কলেজের অধ্যক্ষের রুমে তালা ঝুলিয়ে দেয়। প্রেক্ষিতে রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফেল করা ১৪ জন শিক্ষর্থী কলেজের অন্য শিক্ষার্থীদের হাত করে আন্দোলন করার চেষ্টা করে। কিন্তু ফেল করা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাধারণ কোনো শিক্ষার্থী যোগ না দেয়ায় ১৪ জন শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করে। এদিকে ১৪ জন শিক্ষার্থী অধ্যক্ষের কক্ষে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করার প্রতিবাদে কলেজের অন্যান্য সাধারণ শিক্ষার্থীরা এক জোট হয়ে ফেল  করা শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন। ক্লাস চালু রাখা ও অধ্যক্ষের পক্ষে সাধারণ শিক্ষার্থীরা  বিক্ষোভ মিছিল বের করলে ১৪ জন শিক্ষার্থীদের
মধ্যে অনেকেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হন। এমন কি মারমুখী আচরণ করেন তারা। এতে দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে রাজপাড়া থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ ও রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহম্মদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহম্মদ ফেল করা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন ও তাদের কথা শোনেন। তাদের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে বলে আশ্বাস দেন পরিচালক। পরে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা নার্সিং কলেজ ছেড়ে চলে যায়। রাজশাহী নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ ফয়েজুর রহমান বলেন, যারা ফেল করার পরের দিনই আমার কক্ষে তালা দিয়েছে। আমি তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছি কিন্তু তারা আমার সঙ্গে বসেনি।  আমার সঙ্গে তাদের বসা উচিত ছিল। তা না করে আমার কক্ষে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করে এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা ও বিক্ষোভ করার মতো কোনো কিছু নেই। কারণ আগামী ৪০ দিনের মধ্যে ফেল করা শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারবে।

×